নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সাংসদ শামীম ওসমানের উদ্দেশ্যে বলেন, ইভটিজিং বন্ধ করেন। জাতীয় সংসদের সদস্য আপনি, আর আপনি ইভিটিজিং করান। জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মান রা কইরেন।
আপনার ফ্যামিলির প্রশংসা করে দেখে মনে কইরেন না, হাতির পাঁচ পা দেখে ফেলছেন। প্রশংসা কেন করে সেটা বোঝার চেষ্টা করেন, সম্মান দেবার চেষ্টা করেন। মানুষের কাতারে আসেন, বিভক্তি বন্ধ করেন। চ্যালা-চামচাদের থামতে বলেন। না থামলে বন্দর, নবীগঞ্জে যেভাবে মানুষ প্রতিহত করেছে সেভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরেও হবে।
আমার কাজ মানুষকে সাহসী করা, শহরবাসীকে জাগিয়ে তোলা। আমি অতন্দ্র প্রহরীর মতো নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে আছি। পদ-পদবীর প্রয়োজন নাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে থাকতে চাই।
এই নারায়ণগঞ্জে ৫০-৬০ বছর যাবৎ যারা জমিদারি করে আসছে, তাদের জমিদারির অবসান ঘটাতে চাই ওই সাম্রাজ্যের অবসান ঘটাতে চাই। জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে।
নোংরামির জবাব আমি নোংরামি করে দিতে পারবো না কিন্তু ভদ্রভাবে দিতে পারবো। আমি এতো নিচে নামতে পারবো না। আমার পরিবারের শিা এটা না। নোংরামি করতে পারবো না কিন্তু আপনার নোংরা রাজনীতির জবাব সাহসীকতার সাথে দিতে পারবো।
কিন্তু যদি উত্যক্ত করতে চান তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। বাড়াবাড়ি ভালো নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের কথা বলি, উন্নয়ন করতে দেন। এ রকম নোংরামি বরদাশত করা হবে না।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আইভী আরও বলেন, বন্দরের ঘটনা কিন্তু সামান্য নয়। হোন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কিন্তু করেছে সাধারণ জনগণ। তারও কিছুদিন আগে কিছু হোন্ডা রেখে গিয়েছিল, পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করেছে। সেই ভূমিদস্যুদের সময় কিন্তু শেষ হয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সকলের উচিত সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোকে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া। এখন মানুষ সব বোঝে। অভিনয়, ধোকাবাজি, ধাপ্পাবাজি সব বন্ধ করেন। যেহেতু সামনে নির্বাচনী বছর। নির্বাচন আসলে বহির্বিশ্ব থেকে শুরু করে দেশীয় ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায়। ডান-বাম সকলে একসাথে হয়ে কীভাবে সরকারকে নামানো যায় সেই চিন্তা শুরু করে দেয়।
এতগুলোকে প্রতিরোধ করতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখ হাসিনা এদেশের জন্য কী করেছেন, তার উদ্দেশ্য কী তা মানুষকে জানাতে হবে। শুধু ধাপ্পাবাজি আর কার পেছনে কাকে লাগিয়ে দেওয়া যায় এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাবেক নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলি, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কাদির, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক খালিদ হাসান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনা, নাসিকের নারী কাউন্সিলর শাওন অংকন প্রমুখ।