‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংরোড অদ্ভুত সুন্দর হবে। এইটা বাংলাদেশের বেষ্ট রোড হবে। নারায়ণগঞ্জের ডিএনডির প্রজেক্ট যা আমাদের অভিশাপ। আমাদের সেনাবাহিনীর ভাইয়েরা করছে। আমরা নারায়ণগঞ্জের ডিএডির প্রজেক্ট এনেছি। শীতলক্ষ্যার উপড় দিয়ে সেতু হচ্ছে। নাসিম ওসমান নামে আমার প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে জেলা স্টেডিয়াম হচ্ছে, এই খান জাহান ওসমান আলী স্টেডিয়ামটা বিনা কারণে নষ্ট হয়েছে। এইটা নষ্ট হওয়ার কথা না। আমার আদরের ছোট ভাই রাসেল প্রতিমন্ত্রী আমি গিয়েছিলাম আমি আর আমার একটা বন্ধু কথা বলেছি কয়েকশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামকে আবারো সর্বাধুনিক স্টেডিয়াম হিসেবে করা হচ্ছে।’
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধনের পর রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ফতুল্লার নম পার্কে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।
শামীম ওসমান বলেন, আর একটা জিনিস চাচ্ছি, ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পাশে একটা বিল্ডিং করা হয়েছে, আজকে ৫ বছর ধরে বিল্ডিংটা অব্যবহৃত। কারণ আইনজীবীরা ওখানে যাবেন না। আমি আইন মন্ত্রীকে বলেছি উনিও রাজি, স্বাস্থমন্ত্রীকে বলেছি উনিও রাজি কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজ হয় নাই। আমরা চাই এতবড় একটা বিল্ডিং পড়ে আছে ওইটাকে একটা অত্যাধুনিক হার্ড ইনিস্টিটিউট করার জন্য আমরা প্রস্তাব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এই মেডিকেল কলেজ, হার্ড ইনিস্টিটিউট, ইউনির্ভাসিটি, আইটি সেন্টার এই গুলো যদি হয়ে যায় তাহলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ ঢাকাকে বলবে গুড বাই, খোদা হাফেজ। এসো প্রাচ্যের ড্যান্ডি দেখে যাও।
শামীম ওসমান আরও বলেন, জাতির পিতার কণ্যা শেখ হাসিনা ৩১ বছরে এসে দেশের হাল ধরলেন। মাত্র ৩১ বছর বয়স। আমার ছেলে অয়নের থেকেও ছোট। আজকে দেখেন দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে। তার ছেলে আজকে স্বপ্ন দেখছেন, কার জন্য দেখছেন ভাই? ওনাদের জন্য? আমরা কি করেছি ওনাদের জন্য? হে অনেক কিছু করেছি ওনাদের বাবা, মা, ভাই সবাইকে মেরে ফেলেছি।
তিনি বলেন, আপাকে বলেছি আপা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, আপা বলেন তোমাদের স্বপ্ন পুরন হয়েছে আমারটা হয় নাই। আমি বললাম আপনার স্বপ্ন কি? তিনি বললেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। এদেশের মানুষ যে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। সোনার বাংলায় সোনার মানুষ মাথা উচু করে দাঁড়াবে পেট ভোরে খাবে মাথা গুছার ঠাঁই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার যে রাস্তাটা আছে বিসিক শিল্প নগনী সেখানে ১৪০০ কোটি টাকা দিয়ে একদম স্ট্রেট ওয়েতে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ পযর্ন্ত ফ্লাইওভার হচ্ছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পরো রাস্তাটা বাংলাদেশের প্রথম ডিপিডি হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথম কমপ্লিটলি আরসিসি রাস্তা হবে। আজ যদি এই সকল কাজ গুলো হয়ে যায় তাহলে প্রাচ্যের ড্যান্ডি আবার তার রূপ ফিরে পাবে।
নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক ভাইয়েরা আমি খোলামেলা কথা বলতে চাই। আর নারায়ণগঞ্জের ইয়াং জেনারেসন এই ইউনির্ভারসিটি এই মেডিকেল কলেজ এগুলা আমার চাহিদা মত আসছে কিন্তু কেউ কেউ চাচ্ছে এগুলিকে এমন এলাকায় নিয়ে যেতে যেখানে নারায়ণগঞ্জের কোন কাজ হবে না। এই জায়গাটাতে যদি হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জের শুধু উপকার হবে না টোটাল পূর্বাঞ্চল যা আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ যেতে হবে না, লিংরোডে এসে লেফট নিবে হাসপাতাল পেয়ে যাবে। পূর্বাঞ্চল থেকে ঢাকা ইউনির্ভাসিটি যেতে হবে না, নারায়ণগঞ্জ ইউনির্ভাসিটিতে চলে আসবে। আর যদি কোন অলিগলিতে নিয়ে যাই তাহলে সেই ধরনের চেষ্টা চলছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের তত্ত¡াবধায়নে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যাান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিউল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক একেএম আবদুল্লাহ খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, মহানগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।