নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন, ভারত আমার রসুলকে নিয়ে এত বড় কটুক্তি করেছে। আল্লামা আহমদ শফী নাই ওদের সুযোগ, আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরী নাই ওদের সুযোগ, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী নাই ওদের সুযোগ, হেফাজত ইসলামকে দাবিয়ে রেখছে ওরা মনে করেছে সুযোগ, এক আবদুল আউয়ালের ঠেলা সামলাতে পারবা না, খোদার কসম।
তিনি বলেন, আহমদ শফী নাই, জুনায়েদ বাবু নগরী নাই, নূর হোসাইন কাসেমী নাই এখন পর্যন্ত ডিআইটির হজরত আছে, বংলাদেশের মুরুব্বিরা আছে। অগ্রিম বলে দেই, একদিন তার আমরা কেউই থাকবো না, কিন্তু ভবিষ্যতে কেয়ামত পর্যন্ত যদি কেউ আমার রসুলের ইজ্জতে বিন্দু পরিমান আচ করে, খোদার কসম তস-নস হয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলতে চাই, ৯২ ভাগ মুসলমান দেশের ক্ষমতায় বসে এখন পর্যন্ত আপনি কেনো প্রতিবাদ করেন নাই। সেই ক্ষমতায় বসার অধিকার আপনার নাই।
শুক্রবার (১০ জুন) নগরীর ডিআইটি মসজিদের সামনে নারায়ণগহ্জ ওলামা পরিষদের আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশ তিনি এসব কথা বলে।
তিনি বলেন, আজকে তাকিয়ে দেখো নারায়ণগঞ্জের তৈহিদি জনতা বুকের রক্ত দেয়ার জন্য কী ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। পাখির মতো গুলি করবে, গুলিতো করেছো। আমাদের ভাইয়েরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাজপথ রঙিন করেছে। আপনারা ডাক দিন, রসুলের প্রেমিকেরা এখান থেকে রওনা দিবে। সরকারি দল আছে, বিরোধী দল আছে, কিন্তু ইসলামি দল ছাড়া মাঠে কেউ নাই। ভারত নাখোস হয়ে যায়, ক্ষমতায় আসতে যদি সিঁড়ি না হয়। আমাদের লাঠি বাড়িয়ে ক্ষমতার প্রয়জন নাই। রসুলের ইজ্জত আমাদের সব চেয়ে বড়, ইসলামের ইজ্জত সবচাইতে বড়।
তিনি আরও বলেন, লংমার্চ করেছি, আমরা ফ্রান্সের দূতাবাস ঘেরাও করেছি আমরা। ওরা মনে করছে ভারতেরটা একটু কঠিন। কিন্তু লংমার্চ দিলে আমরা ঠিকই যাবো, তখন কিন্তু আমাদের আটকাইয়া রাখতে পারবেন না। অনতিবিলম্ভে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেন। এখনো সময় আছে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনেন। তা না হলে তৌহিদি জনতা ভারত অভিমুখে লংমার্চ শুরু করবে।
তিনি আরও বলেন, জেল খানায় বন্ধি আলেম-ওলামা। এ কথা বললেই ওরা মনে করে আবারও হেফাজতের উসকানি শুরু হয়ে গেছে। ওরা তো কাচের ভিতরে থাকে, আমাদের কথা শুনতে পায় না, ভারতে যাবে কি করে। ওবাইদুল কাদের সাহেব তো চতুর দিকে কাচের ভেতরে ঢুকে বসে থাকে, প্রধানমন্ত্রী তো আরও ভিতরে বসে থাকে। এই সমস্ত মানুষগুলো যখন রাজপথে নামে, উতপ্ত হয়, তখন এক শেনীর মানুষরা বলে, ওরা জঙ্গি স্টাইলে আক্রমন করা শুরু করেছে। তবে এবার আমরাও বুঝেছি আপনাদের কানে ও ওই কাচের ভিতরে কথা কি ভাবে পৌছাইতে হয়। আপনারা আমাদের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন আর আমরা বিলম্ভ করবো না। আমাদের আমির যে কর্মসূচি দিবে আমরা মানতে প্রস্তুত আছি। রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি, জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।