স্টাফ রিপোর্টার: ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস সহ সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের সম্পূর্ণ বেতন ও বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে মহান মে দিবস পালন করেছে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখা। পহেলা মে রোববার বিকেলে শহরের জামতলায় রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি ডাঃ শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক। সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এ.বি.এম সিরাজুল মামুন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ হিসেবে অন্যান্য সকল দিকের মতো শ্রমজীবী মানুষদের সব সমস্যার সার্বিক ও ন্যায়ানুগ সমাধানের দিকনিদের্শনা প্রদান করেছে। ইসলাম চায় শ্রমিক ও মালিকের সৌহার্দ্যমূলক পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এমন এক বিধানের প্রচলন করতে, যেখানে দুর্বল শ্রেনীকে শোষণ-নিপীড়নে পিষ্ট করার জঘন্য প্রবণতা থাকবে না। শ্রমিকের অধিকারের ব্যাপারে ইসলাম যতটা গুরুত্ব দিয়েছে পৃথিবীর অন্য কোন ধর্ম বা চিন্তাদর্শে তার নজির খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তাইতো রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মহান মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আলী, সহকারী সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কবির হোসেন, খন্দকার হাফেজ মুহাম্মদ আওলাদ ও মহানগর শাখার সহকারী সম্পাদক কামরুল হাসান পায়েল, জেলার প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শরিফ ও ফতুল্লা থানা সভাপতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষ যদি ইসলামের প্রদর্শিত নীতিমালা অনুসরণ করে তাহলে একদিকে শ্রমিকদেরকে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হবেনা অন্যদিকে মালিকরাও শ্রমিকদের শোষণ করার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসবে। উভয়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং একে-অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এজন্য শ্রমিকদের অধিকার স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সম্মিলিতভাবে ইসলামী শ্রমনীতি অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। আসুন শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা ইসলামী শ্রমনীতি কায়েমের আন্দোলনে শামিল হই এবং মেহনতী মানুষের আর্তনাদ ও আত্মচিৎকার বন্ধ করে তাদের মুখে হাসি ফুটাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সহায় হোন।