আবারও ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইউক্রেন জুড়ে দফায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। পুরো দেশের ৩০টিরও বেশি শহর ও গ্রামে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। চালানো হয় ২৩টি বিমান হামলা। ঘটে ৬০টি রকেট হামলার ঘটনাও।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শত্রু পক্ষ আমাদের ঘায়েল করতে উন্মত্ত হয়েছিল। আমাদের সেনাবাহিনীও পাল্টা জবাব দিয়েছে। রাশিয়ার ২৪টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের কাছে একটি রাশিয়ান সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রাউন্ডে গুলি চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন হামলাকারীও রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫ জন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গুলি ও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলগোরোড অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা হয়। দুজন হামলাকারী এর নেপথ্যে ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নাগরিক। বেলগোরোডে ওই সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবক সৈন্যরা অনুশীলন করছিলেন। এ সময় তারা গুলি চালান হামলাকারীরা। পাল্টা গুলিতে হামলাকারীরাও নিহত হন।
রাশিয়ার গণমাধ্যম সোটা ভিশন দাবি করেছে, ইউক্রেনীয় সীমান্তের কাছে ও বেলগোরোডের প্রায় ১০৫ কিলোমিটার (৬৫ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে সোলোতিতে নামে একটি ছোট শহর এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে শক্তিশালী করার ঘোষণার পরই এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ এক সাক্ষাৎকারে জানান, বেলগোরোডে হামলাকারীরা মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের ছিলেন। ধর্ম নিয়ে বিতর্কের ঘটনায় তারা রুশ সেনাদের ওপর গুলি চালায়।
আল জাজিরা তাৎক্ষণিকভাবে আরেস্টোভিচের মন্তব্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
একই দিন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরুদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ইলেক্ট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি ইউক্রেনারগো। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, সামনের দিনগুলোয় আরও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।
সম্প্রতি রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটে। মূলত, তার পর থেকেই ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়ে রাশিয়া।