‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ শুক্রবার মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড। আল বায়াত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শুরু হয় ম্যাচটি।
ইংল্যান্ডকে জিততে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
প্রথামার্ধে ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রথামার্ধে ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। –দুটি দলই গোলশূন্য ড্রতে বিরতিতে গেছে। উলটো ইংলিশরা যুক্তরাষ্ট্রের মুহুর্মুহু আক্রমণে বিপর্যস্ত। ইংল্যান্ড বিরতিতে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে দারুণ শট নিয়েছিল অবশ্য,কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক রুখে দেন। প্রথমার্ধে ৭টি শট নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে ইংলিশরা নেয় ৬টি।
দারুণ ছন্দে ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ম্যাচে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দেয় ইরানকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলে রুখে দেয় ওয়েলসকে। আজ যদি ইংল্যান্ড জিতে যায় তাহলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
কেন ফিট
ইরানের বিপক্ষের ম্যাচে কিছুটা চোট পেয়েছিলেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। ইংলিশ গণমাধ্যম শঙ্কা করছিল তিনি খেলতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে। কিন্তু ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট জানিয়ে দিয়েছেন হ্যারি ফিট।
আজ নিখুঁত থাকবে ইংলিশরা?
প্রথম ম্যাচ থ্রি লায়ন্সরা বড় ব্যবধানে জিতলেও তাদের রক্ষণে কিছুটা দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। তাইতো যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষের ম্যাচকে সামনে রেখে রক্ষণে জোর দিতে দেখা যায় অনুশীলনে।
আন্ডারডগ যুক্তরাষ্ট্র
ইংল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে আন্ডারডগ। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে যেভাবে অঘটন হচ্ছে তাতে করে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তার ওপর ওয়েলসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স কিন্তু হেলাফেলা করার মতো ছিল না। টিমোথি উইয়ার গোলে ওয়েলসের বিপক্ষে প্রথমে তারা এগিয়েও গিয়েছিল। শেষ দিকে গিয়ে গোল হজম করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দ্য ইয়াঙ্কসরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়দের সামলাতে ওয়েলসকে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছে।
আজকের ম্যাচকে সামনে রেখে ইংল্যান্ডকে তো এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ অধিনায়ক টাইলার অ্যাডামস, ‘ইংল্যান্ড বড় দল। তবে ভয়ের কিছু আছে কি? আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই মাকড়সাকে। এ ছাড়া তেমন কিছু নেই আমার ভয়ের তালিকায়। সুতরাং, এই ম্যাচটাও ভয় পাওয়ার মতো নয়। এটা ঠিক, অনেক বড় বড় ফুটবলারদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। এর আগেও খেলেছি। আমরাও দেখাতে চাই, বড় দলের বিরুদ্ধে খেলার দক্ষতা আমাদের রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল উন্নতি করছে, সঠিক পথেই চলছে। এ বারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড। অনেক ম্যাচেই আমাদের আন্ডারডগ বলা হবে। আমরা সেটাকে গর্ব হিসেবেই দেখছি।’
দুই দল চেনা প্রতিপক্ষ
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ইংল্যান্ডের অচেনা প্রতিপক্ষ নয়। ১৯৫০ সাল থেকে তাদের সঙ্গে খেলছে ইংলিশরা। এ পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৫টিতে। হেরেছি দুটিতে। ১৯৫০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ৫ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের জালে ২৯ গোল দিয়েছিল ইংল্যান্ড। তার মধ্যে ১০-০, ৮-১, ৬-৩ ও ৫-০ ব্যবধানের জয় রয়েছে।
তবে ১৯৯০ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে খুব একটা বড় ব্যবধানে হারাতে পারেনি সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে দেখা হয়েছিল দল দুটির। সেবার অবশ্য থ্রি লায়ন্সদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারও কি তেমন কিছু হবে? নাকে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে হ্যারি-সাকারা?