আড়াইহাজারে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ১২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করাসহ ৬০ থেকে ৭০ জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রবিবার (১২ ফেব্রযারি) আড়াইহাজার থানার এসআই নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকালে স্থানীয় পাঁরুখী বাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আটক ইয়াকুব (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি স্থানীয় পাঁচরুখী গজারিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
এজাহারে উল্লেখিত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে ও হুকুমে দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ শতাধিক নেতাকর্মী হাতে লাঠিসোটা, রড, অস্ত্র ও ককটেল বোমা নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ বাঁধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ সহ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনায়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক দলটির নেতকার্মীদের হামলায় আড়াইহাজার থানা পুলিশের এএসআই সৈয়দ আলী কং-১০৫১, আলমগীর কং-১৩৯৯ ও রাজীব হোসেনসহ পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক লুৎফর রহমান আব্দু বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অনুযায়ী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে বেলা ১ দুপুর দিকে ‘পথযাত্রা’ শুরু করেন।
এসময় নেতাকর্মীরা স্থানীয় পাঁচরুখী বাজারের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ বিনাউস্কানীতে তাদের ওপর অর্তর্কিত গুলি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে । এতে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ মোল্লাসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় যুবদল নেতা ইয়াকুবকে গ্রেফতার করে ৫দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন-
১।ইয়াকুব (২৭) পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- পাঁচরুখী গজারিয়াপাড়া, থানা-আড়াইহাজার, ২। নজরুল ইসলাম আজাদ (৪৩), পিতা-মৃত মোস্তাফিজুর রহমান, সাং-পাঁচরুখী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কমিটি, ৩। মোঃ ইউসুফ আলী ভূঁইয়া (৬৫), পিতা- মৃত আব্দুল মালেক ভূঁইয়া, সাং- চামুরকান্দি, ৪। মাছুম সিকারী(৪৮), পিতা- মৃত জয়নাল মেম্বার, সাং- শ্রীনিবাসদী, ৫। মোঃ খোরশেদ আলম (৪০), পিতা- মৃত হাছেন আলী ভূঁইয়া, সাং- পাঁচরখী পশ্চিমপাড়া, ৬। মোঃ মফিজুল ইসলাম(৪৫), পিতা- মৃত রূপ মিয়া, সাং- লতবদী, ৭। মোশারফ হোসেন (৫৫), পিতা-মৃত আমিন উদ্দীন, সাং- বাজবী দুপ্তারা, ৮। মাসুম (২২) পিতা-মৃত হালিম মোল্লা, সাং- রসুলপুর মোল্লাপাড়া, ৯। রিপন মেম্বার (৪০) পিতা- মৃত আনিছুর রহমান, সাং- পুরিন্দা বাজার, ১০। এমরান ডাকাত (৪৮) পিতা- মৃত ফজলুল হক, সাং- সত্যবান্দি, ১১। রফিকুল ইসলাম (৪৩) পিতা- মৃত সাহেব আলী, সাং- বাজবী হাজীপাড়া, ১২। আসাদ (৩৫)
পিতা-আজিম উদ্দীন, সাং- দক্ষিণপাড়া, ১৩। আল-আমিন (৩৩) পিতা- কাজল, সাং বাজবী, ১৪। আলমগীর (৪০) পিতা- আজগড় আলী, সাং- দক্ষিনপাড়া, ১৫। মোঃ সাদেক (৩৫), পিতা- শামসুল, সাং- দক্ষিনপাড়া, ১৬।শফিকুল (২৬) পিতা- মৃত আব্দুস সালাম, সাং- পাকাতুয়া (সাতগ্রাম), ১৭। তানভীর (২৪) পিতা- মৃত রহিম, আতাউর মেম্বারের ভাগিনা সাং- ছনপাড়া, ১৮। হিরণ (৪০) পিতা- আঃ করিম, সাং- ছনপাড়া মাইজপাড়া, ১৯। মিল্লাত (১৮) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- পাঁচরুখী দিঘীরপাড়, ২০। বাবুল (৪০) পিতা- খোরশেদ
মিয়া, সাং- ছনপাড়া মাইজপাড়া, ২১। আতাউর মেম্বার (৫০) পিতা- মৃত আলেক, সাং- ছনপাড়া মাইজপাড়া, ২২। রবিউল ইসলাম (২৩) পিতা- হাজীকুর, সাং- পাঁচরুখী মাইজপাড়া, ২৩। আকাশ (১৮) পিতা- আনার, সাং- ছনপাড়া মাইজপাড়া, ২৪। সজল (২৭) পিতা ইলিয়াস, সাং- পাঁচরুখী মাইজপাড়া, ২৫। হাবিবুর ভূঁইয়া (২৭) পিতা- অজ্ঞাত, খোরশেদের ড্রাইভার, সাং- অজ্ঞাত, ২৬। রনি (২৩) পিতা- লোকচান, সাং-পুরিন্দা মান্নান চেয়ারম্যানের ভাতিজা, ২৭। রেজাউল করিম (৪৫) পিতা- ফায়জুর রহমান, সাং- রসুলপুর, ২৮। নাহিন (২২) পিতা- নাদিম, সাং- পাঁচরুখী গজারিয়াপাড়া, ২৯। খোরশেদ (৪০) পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- পাঁচরুখী গজারিয়াপাড়া, ৩০। নয়ন (৪৫) পিতা- অখিল উদ্দীন, সাং- পুরিন্দা, ৩১। নাঈম (৪২) পিতা- অখিল উদ্দীন, সাং- পুরিন্দা, ৩২। কাইয়ুম (৩৮) পিতা- অখিল উদ্দীন, সাং- পুরিন্দা, ৩৩। সাইফুল (৪৮) পিতা- আঃ রশিদ সরকার, সাং- পুরিন্দা বড়বাড়ী, ৩৪। সাজু (১৮) পিতা- জজ মিয়া, সাং- পাঁচরুখী গজারিয়াপাড়া, ৩৫। শাওন (১৮) পিতা মাহাবুব, সাং- পাঁচরুখী গজারিয়াপাড়া, ৩৬। ইয়াকুব (২৪) পিতা- কানা সাত্তার, সাং- পাঁচরুখী মাইজপাড়া, ৩৭। কামাল (৩২) পিতা- বোরহান, সাং- বাহাদুরপুর, ৩৮। মামুন (২৮) পিতা- মৃত কবীর, সাং- পাঁচরুখী, ৩৯। ইকবাল (৩৪) পিতা- মৃত ফারুক, সাং- পাঁচরুখী, ৪০ অপু(২৪) পিতা- মৃত বকুল, সাং- পাঁচরুখী পূর্বপাড়া, ৪১। রুহুল আমীন, পিতা- মৃত কবীর, সাং-পাঁচরুখী পূর্বপাড়া, ৪২। আবদু (৫২) পিতা- মৃত সুরুজ আলী, সাং- পাঁচরুখী, ৪৩। মোঃ ইকবাল হাসান (২৫) পিতা- আঃ করিম, সাং- নতুন বান্টি, ৪৪। সবুর(৫৫) পিতা- মৃত আলী, সাং- পুরিন্দা বাজার, ৪৫। সেলিম (৪৫) পিতা- নূরু প্রধান, সাং- টেকপাড়া, ৪৬। আলী ডাকাত (৫৫) পিতা- মৃত নূর মোহাম্মদ, সাং- চারিগাঁও, ৪৭। মুকবুল (৫২) পিতা- মৃত দৌলত মোল্লা, সাং- রসুলপুর, ৪৮। কাজল (৩৮) পিতা- আঃ আউয়াল, সাং- টেকপাড়া, ৪৯। রানা (৪০) ।