আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক কিনার টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠির মধ্যে দফায় দাফায় সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছে। সংষর্ষের ঘটনায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রæয়ারি) রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদী এলাকায়।
এলাকাবাসী জানায়, মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের গহরদী গ্রামের কিছু দিন আগে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে শিকারী বাড়ীর বিজয়ী ফারুক মেম্বারের ভাই মনির শিকারীর ও পরাজিত দেওয়ানবাড়ীর ইয়াকুব ও হোসেনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্ধ চলে আসছিল। তাছাড়া ও শিকারী বাড়ীর আত্মীয় আফা ডাকাতের ছেলে খোকন প্রতিপক্ষ দেওয়ান বাড়ীর জয়নালের ছেলে ওয়াজকুরনীকে মাদক কিনে আনার জন্য ২৭ হাজার টাকা দেয়। খোকনকে মাদক না দিয়ে ওয়াজকুরুনী পুলিশে নিয়ে গেছে বলে জানান। এই নিয়ে ওয়াজকুরনী ও খোকনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই মাঝে এলাকায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মাদক বিরোধী শোভা যাত্রা ও বের করা হয়। এই টাকা উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার রাত ৭টায় ফারুক মেম্বারের নেতৃত্বে বিচার শালিশী বসার কথা ছিল। বিচার বসার আগেই ফারুক মেম্বারের ভাই মনিরের ঘর ভাংচুর করে। এতে উভয় পক্ষের উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
পরে উভয় পক্ষ দা, ছুরি, টেটা , বল্লম নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে । থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। খবর পেয়ে প্রথমে থানা পুলিশ গেলে সংঘর্ষ থামাতে ব্যার্থ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে রাত ১১টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩২ জন আহত হয়। আহতরা হলো, জয়নাল, জালাল, রফিকুল, আলআমিন, হোসেন, লিটন, রতন, সফিক, ডালিম, ছলিম, ইয়াকুব, সেলিম, মিনারা, ইয়াছিন,এমদাদুল, হযরত আলী, ছালাম, আরজু, বিল্লাল, জজ মিয়া, ইয়াছিন, শাহ আলম, জামির, সোহেল, আরমান, আলী, জরিনা, হাছেন, অলিউল্লাহ, আফছান, খোকন প্রমুখ। এদের মধ্যে ৪ জনকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, ঘটনা আপাতত শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।