নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চারটি বসত বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থসহ প্রায় ২৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) মধ্যরাতে স্থানীয় আড়াইহাজার পৌরসভার শিবপুর, নোয়াপাড়া ও দুপ্তারা ইউনিয়নের বান্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনার পর আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
বান্টি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত রুহুল আমিনের ভাই বাকির জানান, রাত দেড়টার দিকে তার ভাই রুহুল আমিনের বাড়িতে একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল হানা দেয়। তারা বিল্ডিংয়ের কক্ষের জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে।
পরে তার ভাই রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী এবং ভাতিজার হাত-পা বেধে একটি কক্ষে ফেলে রাখা হয়। পরে ডাকাতরা অপরকক্ষে থাকা আলমারি ভেঙে প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল সেট লুটে নেয়।
শিবপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাস ফেরত খোকন অভিযোগ করেন, তার ফ্লাট বাড়িতে একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তার দুই সহদোর স্বপন, রতন ও তাদের বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া শফিকুলের পরিবারের লোকজনকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেধে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে কক্ষগুলোতে থাকা আলমারি ভেঙে প্রায় ৮ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নগদ ৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় নোয়াপাড়া এলাকার আল-আমিনের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। এই বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেট লুট করা হয়। কক্ষে থাকা সবাইকে হাত-পা বেধে ফেলা হয়েছিল।
একই এলাকার রশীদ মিয়া অভিযোগ করেন, তার বাড়িতে একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল হানা দেয়। পরে তার বিল্ডিংয়ের দরজার লগ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। এক পর্যায়ে তার বাড়িতে থাকা দুই ভাড়াটিয়ার কক্ষে প্রবেশ করে তাদের হাত-পা বেধে কক্ষের সব আসবাবপত্র তছনছ করে মোবাইল ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।
এ ছাড়াও একই এলাকার রবি মিয়ার বাড়িতেও ডাকাতরা হানা দিয়ে বিল্ডিংয়ের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এই বাড়ির লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, এ সময় পাশের মসজিদ থেকে এলাকায় ডাকাত প্রবেশের বিষয়টি সবাইকে মাইকিং করে জানানো হয়। এতে অনেকেই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তিনি বলেন, ‘নোয়াপাড়া এলাকায় ডাকাতির ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। এটি খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত সুরুজউদ্দিন বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তার পরও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।