পৃথক ঘটনায় দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে আড়াইহাজারে থানা পুলিশ। এর মধ্যে স্বামীর সাথে স্ত্রী এবং অপর ঘটনায় স্ত্রীর সাথে স্বামীর অভিমানের কথা উঠলেও একটি ঘটনাকে হত্যাকান্ড বলে গুঞ্জন তুলেছেন এলাকাবাসি।
বৃহষ্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী ও ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দি এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটেছে।
এর মধ্যে একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে এবং অপরটি পুলিশকে না জানিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে দাফন করে ফেলেছেন স্বজনেরা। তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) আজিজুল হক হাওলাদার।
জানা যায়, শক্রবার সকালে উপজেলার দাইরাদী গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী হালিমা (২৯) নামে নয় মাসের অন্তসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ তার বাসার সৌচাগার থেকে উদ্ধার করেছে গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে হালিমা সৌচাগারে টিনের চালার আটনের সঙ্গে রশী দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের দাবী। তবে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেনি বলে জানায় পুলিশ। এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে যে, হালিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
একই দিনে, উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দী গ্রামের মৃত মালেকেরে ছেলে মামুন (৩৫) বুধবার সকালে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ীতে ফিরে আসেন। কিন্তু বৃহষ্পতিবার রাতে আবার তিনি বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে বাড়ীতেই মৃত্যু বরণ করেন। তার লাশ পুলিশকে না জানিয়ে তরিঘরি করে দাফন করে ফেলেছেন স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) আজিজুল হক হাওলাদার লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এমন কোন ঘটনা আমাদের নলেজে নেই। আমরা এই বিষয়টি অনেকের মুখেই শুনলাম। আমরা ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।