রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, মোটা নেতাদের দাপটে আমাদের হটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে নব্য আওয়ামী লীগাররা। নারায়ণগঞ্জে এখন আওয়ামী লীগের ছড়াছড়ি, এদের মধ্যে সুবিধাভোগীরা তৎপর রয়েছে সকলের মাঝে। জিকে শামীমের মত লোকদের আওয়ামী লীগে পদ দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। জিকে শামীম যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়, তখন অনেক বড় বড় নেতা হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিল। এখন তিনি জেলে, নেতারাও এখন গা-ঢাকা অবস্থা।
রোববার (২২ আগষ্ট) বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূক্ত নারায়ণগঞ্জ দর্জি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করুন, নিজের আখের গোছানোর জন্য আওয়ামী লীগ পদ ব্যবহার করবেন না। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় আমরা তখন রাজপথে ছাত্ররাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম জিমখানা থেকে। এখন যে দিকে তাকাই শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ, আমার ভয় হয় যেন আরেকটা-১৫ই আগষ্ট না হয়। আজকে সবাই নেতা হতে চায়, তাই শ্রমিকলীগের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, কোন শত্রæ যেন না ঢুকতে পারে আমাদের দেশ গঠনে যেন তারা আবার বাধার সৃষ্টি করতে না পারে। সুবিধা বাদিদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ দর্জি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে হাজী মো. রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা জি এম আরাফাত, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহম্মেদ বাবু, মহানগর শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সবুজ শিকদার, মহানগর মহিলা শ্রমিক লীগের সভানেত্রী ও সাবেক কাউন্সিলর খোদেজা খানম নাসরিন ও জেলা মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিলা আহম্মেদ নিশি প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা জি এম আরাফাত বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করলে আগামীতে আওয়ামী লীগ দুঃসময়ের কবলে পড়লে নেতা-কর্মী পাবেন না। ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগদের দাপট দেখেছি। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর অনেকে আওয়ামী লীগদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। তখন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগার বলতে কেউ ছিলো না। তখন আমরা আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলন করে ছিলাম। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, চারিদিক বড় বড় নেতাদের দেখি। বড় বড় গাড়ী নিয়ে চোখের সামনে চলে যায়। তাই বলতে চাই, আগামী দিনে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দলে মূল্যায়ন করুন। টাকা পয়সা বাড়ী গাড়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ করি না। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ছাত্রলীগ থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পতাকাতলে রয়েছি।