নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ ছাত্র লীগের প্রশংসা করে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের সহায়তায় সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে। শুধু কষ্ট, একটা দাগ লেগেছে। আমি এনায়েতনগর ইউনিয়নের ভোটার। নির্বাচনের শেষ সময়ে ভোট দিতে যাব।
পথের জানতে পারলাম র্যাবের একটি বিশেষ বাহিনী মাসদাইরের প্রাথমিক বিদ্যালয় গেছে। কোন গন্ডগোল নাই। নির্বাচনে প্রায় শেষ। কিছু অনিবন্ধিত পত্রিকার গাড়ি ও সেখানে দেখেছি। সবকিছুই পুরোপুরি ফিটফাট। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, নারায়ণগঞ্জের ছাত্রলীগ সভ্য।
তারা কোন থানা, পুলিশ বা জেলা প্রশাসকের কাছে যায় না। ছাত্রলীগ নেতা সানিদের সময় থেকে এখন পর্যন্ত যারা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একটা প্রশ্ন কেউ করতে পারেনা।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে ইউনিয়ান পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ, তারা সরকারি দল সেটা প্রমাণ করে না৷ ভুল-বোঝাবুঝি হোক আর যেটাই হোক সেখানে একটা ঘটনা সাজানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সভাপতি কামালের সামনে ঘটনা সাজানো হয়েছিল। আমি আর পাঁচ মিনিট পরে গেলে এই সাজানো ঘটনা হয়তো আরো বড় আকার ধারণ করতে। আমি যাওয়ার পরে র্যাবের কর্মকর্তারা বুঝতে পেরেছে এটা সাজানো ঘটনা।
এগুলো নির্বাচনে হয় কিন্তু ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদের পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। আমরা এটা যেখানে জানানোর দরকার জানিয়েছি, জানাবো। এটা থেকে আমরা শিক্ষা নিব। গাছের পাতায় পাতায় এখন আওয়ামী লীগ। সব সেক্টর এমন আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে আমার, খোকন সাহা, চন্দন শীলের মনে হয় আমরা আওয়ামী লীগ করি না, বিএনপি জামাত করি।
নারায়ণগঞ্জ শহর একটা ডেড সিটি হয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী এলাকা, কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহরের দিকে তাকালে মনে হয় এরচেয়ে খারাপ অবস্থা আর নাই। উন্নতি হবে এটাই মানুষ চায়।
সাংসদ আরো বলেন, যেকোনো এলাকার সমস্যা তুলে ধরতে সহযোগিতা করতে পারে সাংবাদিকরা।
কিন্তু কিছু কিছু পত্রিকা চরিত্র হনন করে। এই নির্বাচনের আগেও কয়েকজন চেয়ারম্যানের চরিত্র হননের জন্য পয়সার বিনিময় কয়েকটা পত্রিকা উঠে পড়ে লেগেছিল। কুত্তা হাড্ডি যায়, এরকম কয়েকটা হাড্ডি পায়। এগুলো করে কোন লাভ হয়না। বহুত বাংলাদেশের বড় বড় পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে করার চেষ্টা করছে, কিছু পায় নাই। আমি এগুলো দেখিও না, পড়িও না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তবলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকত আলী, কুতুবপুরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজর আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, সানমন্দি ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নবনির্বাচিত মেম্বারবৃন্দসহ প্রমুখ।