নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, ‘যারা আমপাতা, কলাপাতা নিয়ে থাকবে তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। নৌকাকে যে মানে না সে আমার নেত্রীকে মানে না, বঙ্গবন্ধুকে মানে না। আমি একদিন সময় দিলাম মূল ধারায় ফিরে আসেন। যদি না আসেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। কোনো খাতির নাই।’
সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে গোগনগরে সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জসিম উদ্দিনের এক নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আমাদের দলের কেউ কেউ বিরোধিতা করছেন। কেন্দ্রে থেকে নির্দেশনা আসছে। যাদের পদ নাই তাদের কিন্তু ভয় নাই কিন্তু যাদের পদ আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ রয়েছে। যারা পদ-পদবী নিয়ে নৌকার বিরোধিতা করছে তারা আমার নেত্রীর বিরোধীতা করে, বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নাই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কিছুদিন আগে সাংসদ সেলিম ওসমান বলেছিলেন, এখানে নৌকার কান্ডারি হবেন জসিম ভাই। আমি তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলাম। গতবার প্রথম এ ইউনিয়নে নৌকা এসেছিল, এবার দ্বিতীয়বারের মত এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক এসেছে। আমরা সবাই নৌকাকে জয়ী করবো। আপনারা তৃণমূলে যারা আছেন তাদের আমার নেত্রী মূল্যায়ন করছেন। এক-এগারোর সময় নেত্রী যখন জেলে ছিলেন তখন অনেক বাঘা-বাঘা নেতা তাকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনারা, আমরা যারা মাঠেরকর্মী আছি, আমরা যুদ্ধ করে নেত্রীকে কারাগার থেকে মুক্ত করে নিয়ে এসেছিলাম।’
আব্দুল হাই বলেন, ‘আপনাদের ভোটে আমরা ক্ষমতায় আছি। ২০২৩ সালে আগামী নির্বাচনে ইনশাল্লাহ আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আমরা সিল মেরে ক্ষমতায় যেতে যাই না, রাতের অন্ধকারে ক্ষমতায় যেতে চাই না। জনগণের ভোট নিয়ে, রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে। আগামী ১১ তারিখ নির্বাচন। আমরা প্রশাসনের কাছে কোনো সুবিধা চাই না, কোনো পক্ষপাতিত্ব চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। যে যার ভোট দিবে, আপনারা কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জসিম ভাই রাতে প্রত্যেক কেন্দ্রে আপনার পুলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নিয়ে বের হবেন। কারণ আপনার বিরুদ্ধে একজন হাতি দাঁড়াইছে। বঙ্গবন্ধু সড়কে সবচেয়ে উচা বিল্ডিং তার। সে মনে করতাছে, আমি টাকা দিয়া সব কিন্না ফালামু। আরে টাকা দিলে টাকা দিবেন, কোনো অসুবিধা নাই। ভোট দিবেন নৌকায়। উনার টাকা পয়সা বেশি হইয়া গেসে, রাখার জায়গা পায় না। আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না। যা বলার সেলিম ওসমান বলে গেছেন। উনি টাকা দিলে নিবেন কিন্তু ভোটটা দিবেন নৌকায়।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক এম.এ রাসেল, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজির হোসেন মাদবর, গোগনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শিকদার প্রমুখ।