যেভাবে চাইছেন সেভাবেই খেলছেন শট। একের পর এক বল উপচে পড়ছে গ্যালারিতে। ২২ গজে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এমন দুর্দান্ত ফর্ম শেষ কবে দেখা গিয়েছিল?
উত্তরটা খুঁজতে হয়তো বেশ পেছনে যেতে হবে। তবে তৌহিদ হৃদয় এবারের বিপিএলে যেভাবে রান করছেন, যেভাবে নিজেকে চেনাচ্ছেন তাতে স্রেফ মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের এ ব্যাটসম্যান টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। অপ্রতিরোধ্য হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে মঙ্গলবার সিলেট চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় ঢাকা ডমেনিটর্সকে ৬২ রানে হারিয়েছে সিলেট। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২০১ রান করে মাশরাফির দল। যা এবারের বিপিএলে প্রথম দুইশ রানের ইনিংস। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৩ বল আগে ১৩৯ রানে থেমে যায় ঢাকা। বিপিএলে যা তাদের প্রথম পরাজয়।
দল জয় পেলেও মাঠে থেকে দেখতে পারেননি ম্যাচ জয়ের নায়ক হৃদয়। নাসিরের কাট শট পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরতে গিয়ে মিস করেন। জোরালো শটে আঙুলে ব্যথা পান। আঙুল ফেটে রক্তও ঝরতে থাকে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেয়া হয়। আঙুলে সেলাইও লাগতে পারে।
আগের দুই ম্যাচে ৫৫ ও ৫৬ রান করা হৃদয় এবার ৮৪ রান করেন। ৪৬ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় সাজান ঝড়ো ইনিংসটি। আল-আমিন ও সৌম্য সরকারকে মারা তার ছক্কা গ্যালারির দ্বিতীয় তলায় গিয়ে পড়ে যা এর আগে একমাত্র ক্রিস গেইলই পেরেছিলেন। হৃদয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি।
বল হাতে আল-আমিন হোসেন ৪৫ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকার টপ অর্ডারে কেউ রান করেনি। ৩০ রানে তারা হারায় ৩ উইকেট। সেখান থেকে নাসির ও মিথুনের ব্যাটে প্রতিরোধ পায়। দুজনের ব্যাটে লড়াইয়েও ছিল ঢাকা। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর সবশেষ। পেরেরার বল উড়াতে গিয়ে লং অফে মিথুন ক্যাচ দেন ৪২ রানে। ২৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এছাড়া ৩৫ বলে ৪৪ রান করেন নাসির।
মাশরাফি ৩ ওভারে ১৪ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম ও আমিরও ২ উইকেট পেয়েছেন। তবে রান দিয়েছেন মাশরাফির চেয়ে সামান্য বেশি। রাজা, পেরেরা ও শান্তর পকেটে গেছে ১টি করে উইকেট।
চার ম্যাচে চার জয়ে মাশরাফির সিলেট রীতিমত চমকে দিয়েছে সবাইকে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে তারা ঢাকার প্রথম পর্ব শেষ করেছে।