ফতুল্লায় এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় অপহৃত কলেজ ছাত্রী কিশোরী (১৭)কে উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে ফতুল্লার দেওভোগ এলাকা থেকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত যুবকের নাম কাজল(২৬)। সে ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগ ভুইয়ার বাগের মৃত নিরঞ্জন দাসের ছেলে। এ ঘটনায় অপহৃত কলেজ ছাত্রী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অপহরনের অভিযোগ এনে কাজল ও উকিল পাড়া মন্দির সংলগ্ন সুশীল দাসকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, অভিযুক্ত কাজলের পরিবারের দাবী, অপহরন নয় ভালবাসার টানে তারা ঘর ছেড়েছিলো। তারা একে অপর কে গভীর ভাবে ভালবাসতো। কিন্ত আইনি বেড়াজালে কাজল অপহরন মামলার আসামী হলো কাজল।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, নারায়নগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ১৭ বয়সী কিশোরী। কলেজে যাতায়াতের পথে প্রায় সময় বাদীর মেয়েকে উত্যক্ত করতো কাজল। এমনকি ৭ থেকে ৮ মাস পূর্বে প্রেম নিবেদন ও করে কাজল। বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে জানায়। এতে করে কিশোরীর বাবা-মা অভিযুক্ত কাজলের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সুশীল দাসসহ পরিবারের অপর সদস্যদের অবগত করে। চলতি মাসের ২২ তারিখ সকাল ৮ টার দিকে কলেজে যাওয়ার জন্য কিশোরী ছাত্রী তার কাশিপুর হাজীপাড়ার বাসা থেকে বের হয়। কিন্ত যথা সময়ে বাসায় ফিরে না আসায় তার বাবা মেয়ের মোবাইল ফোনে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তারা খুঁজতে বের হয়ে জানতে পারে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় যাওয়া মাত্র বাদীর মেয়েকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে অপহরন করে নিয়ে গেছে কাজল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানায়, মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতে দেওভোগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত কাজলকে আটক করা হয়েছে।