আলীরটেকে অটোরিক্সা চালক সিয়ামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায়, গোপনে গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত করে হত্যা মামলার প্রধান ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। শুক্রবার (২০ মে) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. ইয়ামিন (১৯) ও মো. নবী হোসেন (১৮)।
উপ-পরিচালক (স্কোয়াড্রন লীডার) এ কে এম মুনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত সিয়াম একজন অটোরিক্সা চালক। প্রতিদিনের ন্যায় সে ১৩মে (শুক্রবার) তার অটোরিক্সা নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হলেও অন্যান্য দিনের ন্যায় সন্ধ্যায় সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এতে তার পরিবার তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে আলীরটেক তৈলখিয়ার চর জনৈক আতাউর রহমান ও বাদলের পরিত্যক্ত ইট ভাটায় সিয়ামের অর্ধগলিত লাশ ইটের ভিতর লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গত ১৩মে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামী সিয়ামের অটোরিক্সাটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে পূর্ব পরিচিতির জের ধরে মোবাইল ফোনে ফোন করে অটোরিক্সা সহ ডেকে নেয় এবং সারাদিন তার অটোরিক্সা নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। পরে সন্ধ্যায় তাকে পরিত্যক্ত ইট-ভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা সিয়ামকে মাটিতে ফেলে কয়েকজন মিলে হাত-পা শক্ত করে ধরে এবং আসামী ইয়ামিন ‘সিয়াম’কে গলায় চাকু মেরে জবাই করে। পরবর্তীতে সিয়ামের মৃত্য নিশ্চিত হলে তারা লাশটি ইট দিয়ে ঢেকে রাখে ও অটোরিক্সাটি বিক্রিয় করে পরস্পর টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। গ্রেপ্তাকৃত আসামীদেরকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।