নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িমজলিশ এলাকায় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দুলাল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টার মামলায় এজাহারভুক্ত ৭ আসামী বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে আহত ব্যবসায়ির পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত এজাহারভুক্ত এক আসামী আরমান (৪৩) ও সন্দেহভাজন আসামী ইমদাদ হোসেন (৫৫)কে পুলিশ আদালতে পাঠালেও রহস্যসজনক কারণে তাদের রিমান্ড আবেদন করেনি। ফলে সন্দেহভাজন আসামী বুধবার বিকালে জামিনে বেরিয়ে আসে। রিমান্ড আবেদন না করায় এবং বাকী আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তারা দ্রæত এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ি দুলাল মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত দুলাল মিয়া উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত শাহজাহান ওরফে ডেংগু আলীর ছেলে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এজাহারভুক্ত আসামী রাজ্জাক মোবাইলে ফজল মিয়াকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যবসায়ীক লেনদেন কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হলে রাজ্জাক তার দলবল নিয়ে ফজল মিয়াকে মারধর শুরু করে। এ খবর পেয়ে ফজল মিয়ার ছেলে নির্ঝর ও তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টা চালায় দুলাল মিয়াকে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে আহত দুলাল মিয়ার ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর, বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো-মোঃ রাজ্জাক (৬০), মোহাম্মদ নাহিদ (২৫), মোঃ মহসিন (৫৫), মোহাম্মদ ইমদাদ হোসেন (৫৫), মোহাম্মদ জামান প্রধান (৪৫), মোহাম্মদ শামীম (৪২), সজীব (৩৮), শাহ আলম (৩৫)। এবং অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে। পরে সোনারগাঁ থানার এসআই মো. ইমরান হোসেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আরমান (৪৩) ও সন্দেহভাজন ইমদাদ হোসেন (৫৫)কে গ্রেপ্তার করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান, এজাহারভুক্ত এক আসামীসহ ২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।