নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী শ্রমিক (৩৮)। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকার ওসমান গণির পুত্র জাফের বিন রিফাত (২৫) ও একই এলাকার মৃত হাজী আঃ রাজ্জাকের পুত্র জোবায়ের আহমেদ সাদি (২৪)।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক বাদী হয়ে জাফের বিন রিফাত এবং জোবায়ের আহমেদ সাদিসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তথ্যমতে, ধর্ষিতা নারী শ্রমিকের স্বামী প্রবাসী। তার বড় ছেলে গ্রামের বাড়ী বাগের হাটে বসবার করে এবং ছোট ছেলে ফতুল্লার লালপুরস্থ একটি আবাসিক মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। ওই নারী দুই মাস আগে তার ছোট বোন ও বোনের স্বামীর সঙ্গে ধর্মগঞ্জ এলাকায় একই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে বিসিকস্থ একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করে আসছে। কর্মস্থলে আসা যাওয়ার পথে জাফের বিন রিফাত এবং জোবায়ের আহমেদ সাদি ওই নারী ও তার বোনের স্বামীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৯টার সময় ওই নারী নিজ কর্মস্থল থেকে বোনের বাসায় যাওয়ার পথে বাসার নিচে সিড়ির কছে পৌছা মাত্র বাড়ীর মালিকের ছেলে ওয়ালিদ রাফাত ও পারভেজ খান বাসার নিচতলাস্থ অপর আসামী সাদির অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই নারীর বোনের স্বামী প্রসঙ্গে নানা কথাবার্তা বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অফিস কক্ষে প্রথমে ওয়ালিদ ও রাফাত তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় বাইরে পাহারারত ছিলো পারভেজ ও আহমেদ সাদি। পরবর্তীতে রাত ১ টার দিকে ওয়ালিদ ওই নারীকে সেখান থেকে ধর্মগঞ্জস্থ তার নিজ রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করে। সেখানে কাইয়ুম নামের অপর একজনও তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষিতা ওই নারীকে রাত দেড়টার দিকে একটি অটোরিক্সায় তুলে দিলে সে তার খালার রেলস্টেশনস্থ বাসায় চলে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ((ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, মামলা হয়েছে। এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।