সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এরই মধ্যে পূজার পোশাক থেকে শুরু করে প্রসাধনী কেনাকাটা শুরু হয়েছে। এই উৎসবে ঘরের সাজকে বদলে দিতে পারেন। ঘর সাজানো মানে অনেকেই ভাবেন খুব খরচ হবে। কিন্তু একটু শ্রম আর বুদ্ধি খরচ করলে খুব সহজেই ঘর সাজিয়ে টিপটপ রাখা যায়। তাই জেনে রাখুন এই বিষয়গুলো-
অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন
অপ্রয়োজনীয় জিনিস ঘরের জায়গা দখল করে। অনেক সময় বাচ্চাদের খেলনা মেঝেতে পড়ে থাকে। এগুলো স্মৃতি হিসেবে রাখতে না চাইলে কাউকে দিয়ে দিতে পারেন। একটা বাক্সে খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখলে ঘর পরিষ্কার দেখাবে।
ফুল দিয়ে ঘর সাজান
বাড়িতে পূজার আমেজ আনতে চাইলে ফুলের চেয়ে ভালো আর কিছু নেই। তবে সবসময়ই যে দামি অর্কিড দিয়ে সাজাতে হবে, তার কোনো মানে নেই। দরকার হলে কুঁচো ফুল ও আবির দিয়ে আল্পনা আঁকুন বাড়ির নানা অংশে।
কৃত্রিম ফুল
আজকাল সুন্দর সুন্দর কৃত্রিম ফুল কিনতে পাওয়া যায়। এতে আপনার সৃজনশীলতা যেমন বাড়বে, তেমনি ঘরটাও অন্য রকম লাগবে।
আসবাবপত্র
ঘরের আসবাবপত্র একটু এদিক-ওদিক করে নিন। পারলে খাট-টেবিল, ডাইনিং টেবিল-এগুলোকেই একটু অদলবদল করে নিন। মাঝেমধ্যে আসবাবের জায়গার হেরফের ঘটালে ঘর অন্য রকম দেখতে লাগে। আর পুরনো কাঠের আসবাব থাকলে এই সুযোগে পালিশ করিয়ে নিন।
ঘরের ভেতর গাছ
ঘরে ছোট ছোট গাছ রাখতে পারেন। তাতে কিছুটা হলেও প্রকৃতির ছোঁয়া থাকবে ঘরে। তবে অবশ্যই টবের যতœ নিতে হবে।
পেইন্টিং
বসার ঘরের দেয়ালে দুই-একটা ক্যানভাস পেইন্টিং ফ্রেম করিয়ে লাগিয়ে নিন। নানা প্রদর্শনী থেকে ছবি সংগ্রহ করতে পারেন। তবে পেইন্টিংয়ের রং যেন উজ্জ্বল হয়। চাইলে আপনার পরিবারের পছন্দের কোনো ছবি বা ধর্মীয় কোনো নজরকাড়া ছবিও বাঁধাই করে রাখতে পারেন।
সুগন্ধি ব্যবহার করুন
ঘরকে প্রাণবন্ত করতে এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করুন। এতে মন সতেজ হবে, ঘরও হবে সুগন্ধময়।
দেয়ালে বাহারি রং
এক রং দিয়ে সব দেয়াল না রাঙিয়ে, মনের মতো করে সাজাতে পারেন বিভিন্ন রঙে। বিভিন্ন রং দিয়ে দেয়ালে নকশাও এঁকে নিতে পারেন। এতে ঘরের দেয়ালটি হবে দৃষ্টিনন্দন।
ঘরের প্রবেশপথ
আপনার ঘরের প্রবেশপথের সামনেই একটা বড় আয়না রাখতে পারেন। এর সঙ্গে ড্রয়ার এবং টেবিল টপ। এই বিষয়টিকে বলা হয় কনসোল। অতিথিদের এতে দারুণ মনোরঞ্জন হবে।