মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বিগত তিন নির্বাচন বৈধ বলা পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে না : সিইসি শরীয়তপুরের রুদ্রকর মঠ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নারায়ণগঞ্জের সকল গ্লানি ও দূর্নাম মুছে ফেলতে হবে : গিয়াসউদ্দিন নাঃগঞ্জ বন্দর রেলগেইটে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর ২য় শাখা অফিস উদ্বোধন গোদনাইল পদ্মা অয়েলের নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে শামীম ওসমানদের মত গুন্ডাবাহিনীর হুংকারে বিএনপি কখনো রাজপথ ছাড়েনি-রাসেল ‘নারীদের প্রতি সমাজ-রাষ্ট্রের এক ধরণের অবহেলা আছে’ ৭ জুলাই : বাংলা ব্লকেডে স্থবির ঢাকা, কোটা বাতিলে এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা মধ্যরাতে নারী ফুটবলারদের জমকালো সংবর্ধনা গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি

ইবোলায় ৫৫ মৃত্যুর পর কোয়ারেন্টাইনে উগান্ডার ২ জেলা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৪.১৬ এএম
  • ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্রাণঘাতী ভাইরাসজনিত অসুখ ইবোলায় গত পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় মারা গেছেন ৫৫ জন। ইবোলোর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে তাই এ রোগের ‘এপিসেন্টার’ বলে পরিচিত দেই জেলা মুবেন্ডে এবং কাসান্ডায় ফের ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন জারি করেছে দেশটির সরকার।

শনিবার উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি স্বাক্ষরিত এক সরকারি নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

করোনার মতো ইবোলাও প্রাণঘাতী একটি রোগ; এবং কোভিডের মতোই বাদুড়, বানর কিংবা শূকরের মাধ্যমে এই রোগটি মানবদেহে সংক্রমিত হয়। তবে এটি শ্বাসতন্ত্রের কোনো রোগ নয়, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও এই রোগটি ছড়ায় না।

ইবোলার পুরো নাম ইবোলা হেমোরাজিক ফেভার বা ইএইচভি। যে ভাইরাসটি এই রোগের জন্য দায়ী, তার নাম ইবোলাভাইরাস। এই রোগটি ছড়ায় মূলত আক্রান্ত প্রাণী ও মানুষের দেহ থেকে নিঃসৃত তরলজাতীয় পদার্থ, অর্থাৎ–রক্ত, লালা, বীর্য, ঘাম, মুত্র প্রভৃতির সংস্পর্ষে এলে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণীর মাংস কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ অবস্থায় খেলেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

মানুষ এবং বানরজাতীয় প্রাণী ও শুকর সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হয়। ইবোলায় আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার অনেক বেশি— ৮৩ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত।

ফলাহারি বাদুড় এই রোগের প্রধান বাহক। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে, বাদুড় এই রোগে আক্রান্ত হয় না, তবে মূলত বাদুড়ের মাধ্যমেই ছড়ায় এই ভাইরাসটি। আফ্রিকার যেসব অঞ্চলে বাদুড়ের মাংস খাওয়ার প্রচলন আছে, সেসব দেশে এই রোগটি ছড়ানোর হার অনেক বেশি। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বাইরে অন্য কোনো দেশে এই রোগটির প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া যায়নি।

ইবোলায় আক্রান্ত হলে প্রথম অবস্থায় রোগীর দেহে জ্বর, গলা ব্যাথা, পেশিতে ব্যাথা, মাথা ধরা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। তারপর এক পর্যায়ে ঘণ ঘণ পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয় রোগীর, আর এসবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে রক্ত। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই এক সময় মৃত্যু হয় রোগীর।

২০১৩ সালে মধ্য আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোতে প্রথম ইবোলার প্রাদুর্ভাব হয়েছিল, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছিল সেই মহামারি। দেশটির সরকারি হিসেব অনুযায়ী, দুই বছরের সেই মহামারিতে ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৮ হাজার ৬১৬ জন এবং তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩১০ জন মারা গিয়েছিলেন।

উগান্ডায় ইবোলার সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে। তারপর থেকে গত দু’মাসে দেশটিতে ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪১ জন এবং তাদের মধ্যে ৫৫ জন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। আক্রান্ত ও মৃতদের সবাই মুবেন্ডে এবং কাসান্ডা জেলা দু’টির বাসিন্দা।

শনিবারের নোটিশে বলা হয়েছে—সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে যদিও ইবোলার বিস্তার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে, তবে পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort