নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা করেন, তা হলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবে না, এটি নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর। কারণ বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (২৯ ডিমেস্বর) সকালে নাসিকের সিদ্ধিরগঞ্জে ১নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমার পা খুব শক্ত। আমি নিজের পায়েই গত ৫০ বছর ধরে বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে হেঁটে চলছি। আমি শঙ্কিত নই। কারণ জনগণ আমার পাশে আছে।
আমি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাই না। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।
আমরা অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশ বন্ধ করেনি। সেখানে প্রতীকসহ সমাবেশ হয়েছে। আমি শঙ্কিত যে, তারা আমাদের সঙ্গে দ্বিমুখী আচরণ করছে।
তিনি বলেন, আমি নাগরিক সেবা ও নাগরিকদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েই এ নির্বাচনে নেমেছি। নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে অযাচিতভাবে যে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পানির যে নতুন ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে এসবসহ জনদুর্ভোগ কমানো।
তিনি আরও বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির ট্যাক্স কমানো হবে। ট্রেড লাইসেন্সও পূর্বের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জনগণের হয়রানি হবে না, তাদের সেবা বৃদ্ধি করা হবে। খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দেওয়া যাবে না। তাদের আগে পুনর্বাসন করতে হবে, তার পর উচ্ছেদ করতে হবে। পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
তৈমুর বলেন, একটা নিরাপদ নগরী গড়তে হবে। শাবল পড়ে মানুষ মারা যাবে, রেলগেট ভেঙে যানজটে মানুষ মারা যাবে, সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ মারা যাবে, যানজট হবে, শব্দ দূষণ হবে, এসব অব্যবস্থাপনা থাকবে না। জলাবদ্ধতা দূর করে দেওয়া হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পৌঁছলে সেখানে তাকে দেখে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। দীর্ঘদিনের ঘরোয়া বিবাদে লিপ্ত থাকা সব বলয়ের বিএনপি নেতারা একাট্টা হয়ে তার পক্ষে মাঠে নামেন।