তার টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে এক বছরও হয়নি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হয়েছিল অভিষেক। আজ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র ৬ টেস্ট। তার মধ্যেই ব্যাট হাতে নিজের জাত চিনিয়েছেন। ৬ টেস্টের ৩ টিতেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। বলছি ইংল্যান্ডের ‘ব্র্যাডম্যান’ খ্যাত হ্যারি ব্রুকের কথা।
স্যার ডন ব্র্যাডম্যান তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে শূন্যরানে আউট না হলে তার ব্যাটিং গড় ১০০ হতে পারতো। অন্যদিকে ব্রুক ৬ টেস্টের ৯ ইনিংসে মাঠে নেমে ব্যাটিং গড় নিয়ে গেছেন ১০০.৯৭ এ। স্ট্রাইক রেট ৯৯.৩৮।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ শুক্রবার বৃষ্টি বিঘ্নিত ওয়েলিংটন টেস্টে ২১ রানেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর জো রুটের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামেন ব্রুক। তারা দুজন চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ২৯৪ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছেন। রুট ১৮২ বলে ৭ চারে অপরাজিত আছেন ১০১ রানে। আর ব্রুক ১৬৯ বলে ২৪টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত আছেন ১৮৪ রানে। ১০৭ বলে ১৪টি চার ও ২ ছক্কায় তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুুর্থ সেঞ্চুরি। এর মধ্য দিয়ে ৬ টেস্ট খেলে চার সেঞ্চুরি করে ছুঁয়ে ফেলেছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের রেকর্ড। এবার অপেক্ষায় আছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্টেই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার।
অবশ্য তার আগেই টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৫ বছরের ইতিহাসে নতুন এক নজির গড়েছেন তরুণ এই তুর্কি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ টেস্টের ৯ ইনিংস খেলে রেকর্ড ৮০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৪ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরিতে তার বর্তমান রান ৮০৭*। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতের বিনোদ কাম্বলির দখলে। তিনি ৯ ইনিংসে করেছিলেন ৭৯৮ রান। তাকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়েছেন ব্রুক।
তবে ইনিংসের হিসেব বাদ দিয়ে ৬ টেস্ট হিসাব করলে ব্রুকের সামনে আছেন সুনীল গাভাস্কার ও ডন ব্র্যাডম্যান। ৬ টেস্ট খেলে গাভাস্কার করেছিলেন সর্বোচ্চ ৯১২ রান। আর ব্র্যাডম্যান করেছিলেন ৮৬২ রান।
ব্রুকের সামনে অবশ্য তাদের যেকোনো একজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। যেহেতু তিনি ১৮৪ রানে অপরাজিত আছেন এবং এই টেস্টে আরও একটি ইনিংস খেলার সুযোগ পাবেন। আর ৫৬ রান করলেই ব্রুক ছাড়িয়ে যাবেন কিংবদন্তি ব্র্যাডম্যানকে।
টেস্টে এক নজরে ব্রুক:
ম্যাচ: ৬
ইনিংস: ৯
রান: ৮০৭*
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ: ১৮৪*
গড়: ১০০.৮৭
স্ট্রাইক রেট: ৯৯.৩৮
সেঞ্চুরি: ৪টি।
হাফ সেঞ্চুরি: ৩টি।