কেপ টাউনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে উইকেট বৃষ্টি ঝরলো। এদিন ৭৫.১ ওভার খেলা হয়। রান হয় সব মিলিয়ে ২৭০টি। আর উইকেটের পতন ঘটে ২৩টি। বোলারদের দাপটের দিনে ৩৬ রানে এগিয়ে প্রথমদিন শেষ করেছে ভারত।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৩.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান তোলার পর নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাকি ৬ উইকেট হারায় দলীয় সংগ্রহে কোনো রান না যোগ করেই। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করে।
ভারতের প্রথম ইনিংসের চেয়ে তারা এখনও পিছিয়ে আছে ৩৬ রানে। এইডেন মার্করাম ৬ চারে ৩৬ ও ডেভিড বেডিংহ্যাম ১ চারে ৭ রানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আগামীকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন।
দ্বিতীয় ইনিংসের উদ্বোধনী জুটিতে মার্করাম ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ডিন এলগার ৩৭ রান তোলেন। এই রানে মুকেশ কুমারের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এলগার। ২ চারে ১২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর ৪১ রানে মুকেশের দ্বিতীয় শিকার হন টনি ডি জর্জি। ১ রান করে যান তিনি। আর ৪৫ রানের মাথায় জাসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ত্রিস্টান স্টাবস। তিনিও ১ রান করে যান। এরপর মার্করাম ও বেডিংহ্যাম মিলে দিন শেষ করে আসেন।
তার আগে প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাত্র দুজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে কাইল ভেরেনি ১ চারে ১৫ ও বেডিংহ্যাম ২ চারে করেন ১২ রান। বাকি ৯ ব্যাটসম্যানের রান ছিল ২,৪,২,৩,০,৩,৫,৪ ও ০।
বল হাতে মোহাম্মদ সিরাজ আগুন ঝরান। তিনি ৯ ওভার বল করে ৩ মেডেনসহ ১৫ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নেন। জাসপ্রিত বুমরাহ ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর মুকেশ কুমার ২.২ ওভার বল করে কোনো রান না দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল। ৪ উইকেটে তুলেছিল ১৫৩ রান। এরপর ১১ বলের ব্যবধানে দলীয় সংগ্রহে কোনো রান যোগ না করেই পরবর্তী ৬ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় তারা। যদিও লিড পায় ৯৮ রানের। ভারতের ৬ ব্যাটসম্যান ডাক মারেন। যা টেস্টে তাদের দ্বিতীয়বার।
ভারতের ছয়জন ব্যাটসম্যান ডাক মারেন। তারা হলেন যশস্বী জয়সওয়াল, শ্রেয়াস আয়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। আর মুকেশ কুমার শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন।
কেবল রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শুভমান গিল রান পান। তার মধ্যে কোহলি ৬টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। রোহিত ৭ চারে করেন ৩৯ রান। আর গিল ৫ চারে করেন ৩৬ রান।
শুরুতে ৩ উইকেট শিকার করেন দক্ষিণ আফ্রিকার নান্দ্রে বার্জার। শেষে ১১ বলের ব্যবধান ৬টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন লুঙ্গি এনগিদি ও কাগিসু রাবাদা।
৩৪তম ওভারে এনগিদি কোনো রান না দিয়ে রাহুল, জাজেদা ও বুমরাহকে আউট করেন। আর ৩৫তম ওভারে রাবাদা কোহলি, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে আউট করেন। সিরাজ হন রান আউট।