আইপিএলের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে, ব্যাটিংয়ে উড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
রোববার রাতে চেন্নাইর এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদকে প্রথমে মাত্র ১১৩ রানে অলআউট করে কেকেআর। এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে। ১০ বছর পর নিশ্চিত করে তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য ১১ রানেই সুনীল নারিনের উইকেট হারায় তারা। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বলে শাহবাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নারিন। ৬ রান করেন তিনি। সেখান থেকে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ভেঙ্কটেশ আয়ার ৪৫ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে জয়টা একেবারে নাগালে নিয়ে আসেন। ১০২ রানের মাথায় শাহবাজ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুরবাজ আউট হলে ভাঙে এই বিধ্বংসী জুটি। গুরবাজ ৩২ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলে যান।
ভেঙ্কটেশ অবশ্য ফিফটি করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ২৬ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে ৩ বলে ১ চারে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
তার আগে দুর্দান্ত বোলিং করে টস জিতে ব্যাট করতে নামা হায়দরাবাদের সংগ্রহ বড় হতে দেয়নি কলকাতা। ১৮.৩ ওভারে তাদের অলআউট করে মাত্র ১১৩ রানে। বল হাতে আন্দ্রে রাসেল ২.৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি ও হরশিত রানা ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া বৈভব অরোরা ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১টি, সুনীল নারিন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ১টি ও বরুণ চক্রবর্তী ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন।
কলকাতার বোলিং তোপের মুখে হায়দরাবাদের মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে কামিন্স ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ২৪ রান। এইডেন মার্করাম ২৩ বলে ৩ চারে করেন ২০ রান। এছাড়া হেনরিক ক্লাসেন ১ চারে ১৬ ও নিতিশ কুমার রেড্ডি ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৩ রান।
বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি। তাতে ফাইনালের মঞ্চে দলীয় সংগ্রহও ১১৩ এর বড় হয়নি। হয়নি ২০১৬ সালের পর দ্বিতীয় শিরোপা জেতা। ২০১৮ সালের পর হায়দরাবাদের জন্য আরও একবার অধরা থাকলো আইপিএলের শিরোপা।