স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁয়ে ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেটকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে ঔষধ প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে বিভিন্ন ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয় সে। আটককৃত ব্যাক্তির নাম মো. সারোয়ার হোসেন (৫২)। সে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার রাধীখাল গ্রামের ডা. হানিফ মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে ঢাকার বাসাবো এলাকায় বসবাস করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়াপুর বাজারে গতকাল সোমবার বিকেল তিনটার দিকে নয়াপুর বাজারে নিজেকে ঔষধ প্রশানের ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে যায়। এসময় তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তার পরিচয়পত্র ও ঔষধ প্রশাসনের চাকুরীজিবীর প্রমাণপত্র চাইলে তা দেখাতে পারেনি। এসময় তার সঙ্গে পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ ছিল না। পরে বাজারে থাকা লোকজন তার প্রতারণা বুঝতে পেরে তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোপার্দ করে। আটককৃত ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেট বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেটকে আটকের পর থানায় পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপার্দ করা হবে।