সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ এবং খুনিদের কাশিপুরের মাটিতে কোন ভাবে ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর ভাবে হুশিয়ারী করে দিয়েছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল। তিনি বলেন, যেসব এলাকায়
দলের এবং দলের বাহিরের লোকজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি এবং দখলবাজী করে তাদেরকে হুশিয়ার করে বলতে চাই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজী করে কাশিপুরের মাটিতে থাকতে পারবে না। সন্ত্রাসী করার ইচ্ছে হলে কাশিপুরের মাটি থেকে সরে গিয়ে করতে হবে।
শুক্রবার (২৮ জুন) কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সুরুজ মিয়ার লাশ দাফন হওয়ার পর সাইফউল্লাহ বাদল সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে এমন হুশিয়ারি দেন।
সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, সুরুজ মিয়া আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত ব্যক্তি ছিল। সে সামাজিক ব্যক্তিত্ব এবং পঞ্চায়েত পন্থা বিশ্বাসী। এমন একজন লোককে সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এমন হত্যা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। যেসকল সন্ত্রাসীরা সুরুজ মিয়াকে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। আর সুরুজ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইনের মাধ্যমে হত্যার বিচার চাওয়ার আহবান করেন তিনি।
সাইফউল্লাহ বাদল আরো বলেন, কাশিপুরের ভোলাইল শান্তিনগর, আলিপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লীপ্ত রয়েছে তাদেরকে হুশিয়ারী দিয়ে বলতে চাই এখনো সময় আছে সন্ত্রাসী ছেড়ে সুপথে ফিরে আসো নতুবা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। আমরা আওয়ামী লীগ সুরুজ মিয়াকে হারিয়েছি কিন্তু আর কোন মায়ের কোন বাপের বুক খালি হতে নিবো না। প্রয়োজনে কাশিপুরে প্রতি এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদসবাজ এবং খুনিদের দমনে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। সন্ত্রাসী ও খুনিদের কোন ভাবে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, কাশিপুরকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত করতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার তাই করা হবে। আর আগামীকাল থেকে প্রতিটি এলাকায় যারা সন্ত্রাসী কমর্মকান্ড করে তাদের তালিকা তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে জমা দেয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন যদি সন্ত্রাসীদের দমন করতে না পারলে কাশিপুরবাসী দমন করবে ইনশাআল্লাহ।