সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং এলাকায় বহুতল ভবনে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে।
এসব ভবন মালিকরা হলো, আটি হাউজিং ৭ নং রোডের সাত তলা ভবনের মালিক সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেন।
আটি হাউজিং ৭ নং রোডের ২৩ নং (ইমাম ভবন) সাত তলা ভবনের মালিক নূর হোসেন ও ৮ নং গলির ২ টি ৬ তলা ভবনের মালিক হাজী মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
গত কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে শতাধিক বহুতল ভবনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সেই দিন রাত্রেই উক্ত ব্যক্তিরা তাদের ভবন গুলোতে অবৈধভাবে এইসব গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড হাউজিং এলাকায় উক্ত ব্যক্তিদের বহুতল ভবনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। উক্ত বাড়ির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ভবন মালিক নূর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি ছয়টি চুলা ব্যবহার করছি। আপনার বাড়ির কোন গ্যাস সংযোগের অনুমতি নেই এমন প্রশ্নের জবাবে নূর হোসেন বলেন আমি আপনার সাথে এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন।
অন্য দিকে আমানুল্লাহ নামের আর এক ভবন মালিক মুঠোফোনে বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা আমার ম্যানেজার এসব ডিলিংস করে। আপনার ভবনের গ্যাস সংযোগ বৈধ কিনা এমন প্রশ্ন করার হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাউজিং এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, উক্ত ব্যক্তিদের ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তারা বছরের পর বছর অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছে। তারা আরো বলেন, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
সচেতন মহলের দাবি, উক্ত ভবনগুলোতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত বিষয় জানতে নারায়ণগঞ্জ তিতাসের গ্যাসের ম্যানেজার মোস্তাক মাসুদ ইমরান বলেন, কিছুদিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় আমরা অভিযান চালিয়ে প্রায় শতাধিক বহুতল ভবনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। কোন বাড়ির মালিক যদি অবৈধভাবে আবারো ভবন গুলোতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং উক্ত ভবন গুলোতে অভিযান চালানো হবে।