ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গত ৪১ দিনে ৫৭১ টি যানবহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং জরিমানা বাবদ সাড়ে ১২ লাধিক টাকা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। মামলা ও জরিমানা করা পরিবহনের মধ্যে রয়েছে ৪৬০টি নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার ও ১১১ টি ট্রাক, বাস ও অন্যান্য পরিবহন।
এদিকে মামলা ও জরিমানাকে উপেক্ষা করে মহাসড়কে যে সব নিষিদ্ধ পরিবহন চলাচল করছে তাদের বন্ধ বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন বলে জানান শিমরাইল মোড় ও সাইনবোর্ড এলাকার দায়িত্বে থাকা টিআই একে এম শরফুদ্দিন।
মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত বাহন চলাচলের বিষয়ে একপ্রশ্নের জাবাবে টিআই শরফুদ্দিন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। তাই বিভিন্ন স্থান নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালকরা মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত তিনচাকার গাড়ি নিয়ে উঠে পড়েন।
এসব পরিবহন গুলো যাতে মহাসড়কে উঠতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ নিয়োজিত থাকে সারাণ। মহাসড়কে এসব বাহন চলাচল পুলিশের নজরে পড়লেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। লোকবল সংকটের কারণে সবসময় নজর রাখা সম্ভব হচ্ছেনা।
এ সুযোগে মাঝে মাঝে কিছু থ্রি-হুইলার মহাসড়কে উঠে পড়ে। কোনভাবেই যেন মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ বাহন চলতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে কাঁচপুর সেতুর উপর উল্টো পথে চলা নিষিদ্ধ একটি ইজিবাইকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের কর্মকান্ড।
সড়কের এ অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি নবীর হোসেন কোনো সদুত্তর না দিয়ে তারই অধিনস্থ শিমরাইল হাইওয়ের পুলিশ ফাঁড়ির উপর এ দায়ভার চাপিয়ে দেন। কাঁচপুর সেতুর উপর উল্টো পথে দিব্বি চলাচল করা নিষিদ্ধ ব্যাটারি চালিত থ্রি-হুইলার, অটো রিকশা, সিএনজির বিষয়ে তিনি কোনো কিছুই জানেন না বলে জানান।