সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা থেকে ৩৪ কেজি গাঁজাসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতা রাতুল খান ওরফে স্বপন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রাতুল খান ওরফে স্বপন কখন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতা আবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতা। এছাড়াও তিনি নিজেকে আবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে মাঠ দাবড়িয়ে বেড়ান।
বিভিন্ন্ নেতাদের সাথে ছবি তুলে, নিজেকে বড় নেতা জাহির করেন মাদক ব্যবসায়ী কথিত নেতা রাতুল খান ওরফে স্পপন।
একাধিক সূত্রমতে, বড় বড় নেতাদের সাথে ছবি তুলে, এই ছবিকে পুজি করে দেদারছে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এই কথিত নেতা।
সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৩০ মে) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ১০তলা সংলগ্ন পাইনাদী মতিন মাস্টারের মাঠে (মদিনা পরিবহন পাকিং মাঠ) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুণিশ (ডিবি)।
এ সময় মাদক বহন করার কাজে ব্যবহৃত একটি হলুদ ও নীল রঙ্গের টাটা মডেলের সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-৮৬৯৭) জব্দ করে।
তবে এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় রবিউল, লাকি ও সুমি নামের অপর তিন মাদক ব্যবসায়ী। গ্রেপ্তারকৃত রাতুল খান ওরফে স্বপন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার পশ্চিম বেহাকৈর গ্রামের মৃত বসু খানের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক এসএম শামীম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোমবার রাত আটটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ১০তলা সংলগ্ন পাইনাদী মতিন মাস্টারের মাঠে অভিযান চালালে গ্রেপ্তারকৃত রাতুল ওরফে স্বপনসহ অপর পলাতক লাকি, সুমি ও রবিউল পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ধাওয়া করে রাতুল ওরফে স্বপনকে ৮ কেজি গাঁজাসহ আটক করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে যায় লাকি, সুমি ও রবিউল।
পরে গ্রেপ্তারকৃত রাতুলের দেখানো মতে আটককৃত পিকআপ গাড়ির চেসিস সংলগ্ন বিশেষ কায়দায় লুকানো আরো ২৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বাদী হয়ে মাদক আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে।