নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নং ওয়ার্ডে যুবলীগ অফিসে হামলা, ভাংচুর, মারধর ও যুব মহিলালীগ নেত্রীর শ্লীতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম সুজন ফকির (৩৮)। সে মামলার ৫ নং আসামী। মিজমিজি বাতেন পাড়া এলাকার কোমর আলীর ছেলে সে। বুধবার (২৬ জুন) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই কামরুল ইসলাম তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সুজন ফকির দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ‘টেনশন গ্রুপের সক্রীয় সদস্য। এই কিশোর গ্যাং গ্রুপের শেল্টারদাতা হচ্ছে শফিকুল ইসলাম।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী সুজন প্রায় সময় শর্টগান নিয়ে শফিকুল ইসলামের সাথে গাড়িতে থাকতো। যাকে বলে বডিগার্ড।
এদিকে ঘটনার মুল হোতা সীমান্ত ও শারিফ এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদীনি।
মামলার তথ্যমতে, সীমান্ত ‘টেনশন গ্রুপ’ ও শারিফ ‘ডেভিল এক্স’ নামক দুটি সন্ত্রাসী দলের মূলহোতা হিসাবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। ২৩ জুন সন্ধ্যার পর টেনশন গ্রুপের লিডার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী রাইসুল ইসলাম সীমান্তের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া খালপাড় এলাকায় যুবলীগ অফিসে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। কার্যালয়ে থাকা বিভিন্ন আসবাব পত্র, অফিস ডেকোরেশনের বিভিন্ন সরঞ্জাম, টিভি ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এক পর্যায়ে ‘ডেভিল এক্স’ গ্রুপের লিডার সারিব অফিসে থাকা টেবিলের ড্রয়ার ভাংচুর করে ড্রয়ারে থাকা অফিসের খরচ বাবদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিতে গেলে যুব মহিলালীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তারকে মারধর করে এবং পরনের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার ডাক চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
মামলার এক আসামী সুজন ফকির গ্রেপ্তার হলেও বাকী ৬ আসামী হচ্ছে-দুর্ধর্ষ কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী ‘টেনশন গ্রুপের লিডার সীমান্ত , মইন, জামাল, অন্তর, মিলন, সুজন ফকির ও ‘ডেভিল এক্স’ গ্রুপের লিডার শারিফ (১৮)।