সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির হাত ধরে পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে গোডাউনে চাকরি পাওয়া রবিন ওরফে গাল কাটা রবিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পদ্মা ডিপো। জানা যায়, এলাকার মৃত আবু কালামের ছেলে রবিন কাউন্সিলর মতির সুপারিশে পদ্মা ডিপোর গোডাউনে চাকুরী পায়। তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ডিপোর এক কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে রবিন। কাউন্সিলর মতি এবং ডিপোর কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু করে অপকর্ম। প্রভাব খাটিয়ে রবিন এখন পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে অঘোষিত ভাবে বিমানের তেলের মিটারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, রবিন ডিপোর ত্রাশ হিসেবে পরিচিত, এমনকি সিনিয়রদের পাত্মা না দিয়ে নিজেই গড়ে তুলেছেন তেল চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেট। রবিন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মতির সাথে ঘনিষ্ঠতার কারনে ডিপোর গোডাউনে চাকরি পেয়ে আওয়ামিলীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ও অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে সে এখন মিটারম্যান হিসেবে কাজ করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিন একজন মাদক সেবী ও রহিম বাদশাহ হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামী।
৫ই আগস্টের পর রবিনের রাজনৈতিক অভিভাবকরা গা ডাকা দিলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে তিনি ।
গত ১২/০৯/২৪ তারিখে পদ্মা ডিপো থেকে জ্বালানি নিতে আসা নতুন একটি ট্যাংকলরি নিজের তত্বাবধানে নিতে রবিন ডিপো থেকে বের হয়ে বিএনপি কর্মিদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে যায় বলে জানা যায়। এলাকাবাসী আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে কাউন্সিলর মতির ক্ষমতা ব্যবহার করে এলাকায় ডিবি পুলিশ দিয়ে নিরীহ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতো রবিন । সরকারের দোসররা পালিয়ে গেলেও আগের মতোই দাপটের সাথে বহাল তবিয়তে রবিন।
এলাকাবাসীর দাবি অনতিবিলম্বে তদন্ত পূর্বক রবিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করুক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।