আড়াইহাজারে সার পাচারের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত হাইজাদী ইউনিয়নের ডিলার ছিফাতুল্লাহকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা ও তার রিয়া এন্টারপ্রাইজ নামক গোডাউন সিলগালা করে দিয়েছে। জব্ধ করা হয়েছে পাচার করা ৪০ বস্তা সার।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম ও এসি ( ল্যান্ড) পান্না আক্তারের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট মঙ্গলবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ফারুকী বলেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মোবাইল কোর্ট।
তিনি জানান,সোমবার বিকেল ৫টার দিকে একটি নসিমন যোগে গোপালদী পৌরসভার কলাগাছিয়াতে পাচার কালে জনতা নসিমন গাড়ীতে ভর্তি ৪০ বস্তা সার আটক করে হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় উপজেলার তিলচন্দী বাজার থেকে নসিমন গাড়ীতে করে ১৫ বস্তা এম ও পি সার এবং ২৫ বস্তা ডেপ সার গোপালদী পৌরসভার কলাগাছিয়ার দিকে নিয়ে যাবার সময় সন্দেহ বশত: উপজেলার গোপালদী পৌরসভার জালাকান্দী এলাকায় জনতা গাড়িটি আটক করে। গাড়ীর চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, সারের বস্তা গুলো উপজেলার তিলচন্দী বাজার রিয়া এন্টারপ্রাইজে গোডাউন থেকে কলাগাছিয়া এলাকার খুচরা সার ব্যবসায়ি মজিবুরের দোকানে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তারা গাড়ীটি আটক করে তা হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদে পাঠান। এলাকাবাসি জানান, এলাকায় সারের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্যেও ডিলার ছিফাতুল্লাহ এলাকার সাব-ডিলারদেরকে সার না দিয়ে অন্যান্য স্থানে বেশি দাম পেয়ে পাচারের মাধ্যমে সার বিক্রি করে থাকেন। ফলে এলাকার কৃষকেরা প্রয়োজন মত সার পাচ্ছেন না।
তিলচন্দী বাজারের সাব ডিলার মোঃ আলম জানান, ছিফাতুল্লাহর কাছে আমরা সার চাইলে তিনি আমাদেরকে সার দেন না। কিন্তু বাইরে ঠিকই বেশি দামে সার বিক্রি করে পাচার করে থাকেন।
হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডিলার ছিফাতুল্লাহ প্রতিনিয়ত এমন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।
তবে সার ডিলার ছিফাতুল্লাহ সার পাচারের সাথে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন,তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আড়াইহাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ফারুকী জানান, অভিযুক্ত রিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধীকারী ছিফাতুল্লাহর কাছে তার নামে বরাদ্দকৃত এ যাবত সময়ে সকল সারের বস্তার হিসেব চাওয়া হয়েছে। তিনি সঠিক ভাবে হিসেব দিতে ব্যার্থ হলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোবাইল কোর্ট চলা কালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান।