সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে আজ। পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন অগণিত ভক্ত। এ উপলক্ষ্যে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে করোনার কারণে এবার এ পূজা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সীমিত পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে। যুগান্তরের ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে জানা গেছে, এ উপলক্ষ্যে প্রতিমা ও পূজার উপকরণ কেনাকাটা তেমন জমেনি। বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো আয়োজন নেই।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্র্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখণ্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছেন। সবার প্রতি অনুরোধ, করোনার এ সংকটময় সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা উদযাপন করুন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছেন।
বরিশাল : সারা দেশের মতো বরিশালেও ক্লাব, মন্দির ও বাড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পূজা। তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও সরকারি বিএম কলেজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে। শ্রী শ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু বলেন, প্রতি বছরই আমরা সরস্বতী পূজা বড় করে উদযাপন করি। কিন্তু এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করতে হবে।
কিশোরগঞ্জ : বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, বাড়িতে আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতী পূজা হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সরস্বতী দেবীর কাছে তাদের প্রার্থনা-করোনামুক্ত প্রাণচাঞ্চল্য মুখর শিক্ষাঙ্গনের। এ উৎসব উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ শহরের কালীবাড়ীতে বসেছিল শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিমার জমজমাট হাট।
বর্তমান পরিস্থিতিতে খারাপ দিন যাচ্ছে প্রতিমা বিক্রেতাদের। আগের তুলনায় অর্ধেক প্রতিমা তৈরি করতে হচ্ছে।