সরকারের পতনের একদফা দাবিতে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সদ্যসমাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো.ফয়জুল করীমের ওপর সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ এবং সিইসির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, দলবাজ ও সেবাদাস সিইসি আব্দুল আউয়ালের মাধ্যমে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ব্যর্থ সিইসিকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট ও বিভিন্ন জেলায় দলীয় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। একই দাবিত আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামীকাল রোববার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন দলের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
লুটেরা দেশবিরোধী সরকারের পতনের একদফা দাবিতে রাজপথ ছাড়বো না। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জগদ্দল পাথরের ন্যায় এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। এখন জনগণের একদফা এক দাবি এই সরকার তুই কবে যাবি। বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থীরাই বেশি ভোট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোট জালিয়াতি করেছে। সিইসিও নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা কথা বলছে। দলবাজ সেবাদাস সিইসি দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সিইসি একজন মানুষিক রোগী তাকে পাবনায় চিকিৎসা করাতে হবে। আওয়ামী লীগের একজন ক্যাডার দলবাজ সিইসি আব্দুল আউয়ালের পরীক্ষা নেয়া হয়ে গেছে। তাকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। মানবতার দুশমন সিইসি ও এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধীকার নেই।
সদ্যসমাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত মেয়রপ্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও সিইসির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। একই দাবিতে গতকাল বাদ জুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উত্তর গেইটে সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মো.ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, পীর সাহেব চরমোনাই’র প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা মো. আরিফুল ইসলাম, ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও ডা. মো. শহিদুল ইসলাম। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। পরে নগরীতে বিরাট বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা শ্লোগান দেয়, বরিশালে শায়েখের ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব দাও জবাব দাও’ ’এক দফা একদাবি সরকার তুই কবে যাবি’ পদত্যাগ পদত্যাগ চাই সিইসির পদত্যাগ চাই’’রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, আমার ভাইয়ের রক্ত কেন জবাব দাও জবাব দাও’। সমাবেশে দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে ওরা কোথায় আঘাত করেছে বুঝতে পারেনি। আওয়ামী লীগের ভোটের এমন অভাব পড়েছে যে ভোট চুরি ছাড়া ওদের কোনো গতি নেই। অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, এই সরকার বার বার ভোট চুরির মাধ্যমে জাতির ললাটে কলঙ্ক লেপন করেছে। আওয়ামী লীগের একজন ক্যাডার দলবাজ সেবাদাস সিইসি আব্দুল আউয়ালের মাধ্যমে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। তিনি বলেন, মানবতার দুশমন সিইসি ও শ্বৈরাচারী সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধীকার নেই। দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর বর্বরোচিত হামলাই প্রমাণ করে দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। এই সরকার জনগণের ওপর এতো জুলম করেছে যে তারা এখন পদত্যাগ করতেও সাহস পাচ্ছে না। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধেই আমরা রক্ত দিয়েছি। এখন আর আমরা রক্ত দিবো না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই এই সরকারের পতন চাই। তিনি বলেন, নাটকের নির্বাচনের মাধ্যমে সিইসির পরীক্ষা নেয়া হয়ে গেছে। সিইসিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, এই মূর্হুতে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে যারাই ভূমিকা রাখবেন তাদেরকেই আমরা স্বাগত জানাবো। তিনি মুফতি ফয়জুল করীমের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় যেসব দলের নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহবান জানান।
এদিকে, বরিশাল টাউন হল চত্বরে বিশাল সমাবেশ করে বরিশাল জেলা ইসলামী আন্দোলন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। বরিশালে দেশপ্রেমিক জনতার উপচেপড়া উপস্থিতি লক্ষনীয়। জনতার রুদ্ররোষ ক্রমেই তৈরি হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। যা আজকে সারাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা দক্ষিণ কালীগঞ্জ জোড়াব্রীজ সংলগ্ন মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সভাপতি হাফেজ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ মেম্বার, ডা. কামরুজ্জামান, হাজী শাহীন আহমদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, শ্রমিকনেতা শামীম আহমদ। বরিশালে হাতপাখার প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইসহ ভোটারদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলার প্রতিবাদ এবং ব্যর্থ সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গুরুত্ব দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোন কোন জেলা প্রশাসনের বাধাঁর মধ্য দিয়ে মিছিল পালন করে। কুমিল্লা জেলা দক্ষিণকে মছিল করতে দেয়নি প্রশাসন। যে সকল জেলায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রায়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, ঢাকা জেলা উত্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর জেলা, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ মহানগর, ময়মনসিংহ উত্তর, মোমেনশাহী দক্ষিণ, রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী জেলা, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা পূর্ব, পাবনা পশ্চিম, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, চট্টগ্রামপূর্ব, চট্টগ্রাম পশ্চিম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী উত্তর, নোয়াখালী দক্ষিণ, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা উত্তর, কুমিল্লা দক্ষিণ, কুমিল্লা পশ্চিম, বি-বাড়ীয়া, খুলনা মহানগর, খুলনা জেলা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রংপুরমহানগর, রংপুর জেলা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর উত্তর, দিনাজপুর দক্ষিণ, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী। এদিকে, মুফতি ফয়জুল করীমের ওপর সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন যথাক্রমে ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান এবং ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকীব।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নগরীতে গতকাল শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন মহানগরের সভাপতি জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বরিশাল সিটি নির্বাচনে শায়েখে চরমোনাইর উপর হামলা ও সিইসির অযাচিত বক্তব্য ও পদত্যাগের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের সামনে ওয়াসা চত্বর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন। মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কাশেম মাতাব্বর, আল মুহাম্মদ ইকবাল, ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, মুহাম্মদ নোয়াব মিয়াসহ প্রমুখ।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশের প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম পীর ছাহেব চরমোনাই বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার বিগত একযুগ ধরে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আক্ষরিক অর্থেই হত্যা করেছে। যার সর্বশেষ নজীর দেখা গেছে বরিশালে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দেশের বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন ও পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে দফায় দফায় রক্তাক্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল নগরীর টাউন হল চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা ও মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব বিশাল সমাবেশে পীর ছাহেব চরমোনাই একথা বলেন। ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একজন প্রার্থীর মৃত্যু কামনা করে যে লোক, তাকে আর এক মুহুর্তের জন্যও সাংবিধানিক দায়িত্বে দেখতে চাইনা। অবিলম্বে এই লোককে সিইসি’র পদ থেকে ছুড়ে ফেলতে হবে। দলের মহানগর সহ-সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমাদ কাওছার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতী সৈয়দ নূরুল করীম, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ জিয়াউল করীম, জাগুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়াতুল্লাহ আজাদী সহ বরিশাল জেলা ও নগর নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, নগরীর জিরো পয়েন্টে গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী জেলা শাখা। মিছিলটি বড় মসজিদ চত্ত্বর থেকে বের হয়ে মনিচত্তর রাজশাহী কলেজ হয়ে কুমারপাড়াস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দিয়ে জিরো পয়েন্টে এসে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মওলানা হুসাইন আহম্মেদ, মো. ফয়সাল হোসেন, মওলানা মুরশিদ আলম প্রমুখ।
খুলনা ব্যুরো জানায়, নগরীর বায়তুন নুর মসজিদ উত্তর গেটে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়াল-এর নেতৃত্বাধীন কমিশন অতীতের সব নির্লিপ্ততা পিছনে ফেলে ইতোমধ্যে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে নিজেদের পরিচিয় দিচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন।
নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, বিভিন্ন দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় নোয়াখালীর মাইজদী জেলা জামে মসজিদ চত্ত্বরে জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের জেলা সভাপতি মাও. মাহমদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আলাউদ্দীন হারুনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই কমরভাঙ্গা কমিশন দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।
রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ী জেলা শাখার আয়োজনে অফিস চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটি। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সামনে রাজবাড়ী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, রাজবাড়ী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ী জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মিলন বিশ^াসসহ প্রমুখ। সরকারের পদত্যাগ দাবির পাশাপাশি সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেøাগান দেন।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, ইসলামী আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গতকাল সকালে পুরাতন আদালত মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবুল হাসান বুখারীসহ প্রমুখ।
বরগুনা জেলা সংবাদদাতা জানান, বরগুনায় গতকাল বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরগুনা জেলা শাখার সাভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদী। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় জেলা শহরের নছর উদ্দিন মার্কেটের মাঠে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মাওলানা নুরে আলম সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়াসহ প্রমুখ।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে গতকাল বাদ আছর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝালকাঠি উদ্যোগে লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে এসে শেষ হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সভাপতি মন্ডলির সদস্য নুরুল হুদা ফয়াজী।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলায় গতকাল বিকেলে শহরের নতুন বাজার চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছিনের জেলা সম্পাদক, জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. মোবাশ্বেরুল হক নাঈম প্রমুখ।