বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত এক পুলিশ কনেস্টবল সরকারি চাকরি নিয়োগ দেয়ার নামে নিজ এলাকায় ট্রেনিং সেন্টার খুলে বিগত সরকারের আমলে প্রতারণা করে প্রায় দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন উদাও। শুধু তাই নয় সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্টানে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন নারী পুরুষের কাছ থেকেই লাখ লাখ টাকা হাটিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এ পুলিশ কনস্টেবল নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া নিশং এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ শাহাবুদ্দিন। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের উদ্ধত ও রাজনীতি এমপি মন্ত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব অপকর্ম করে বেড়াত এই পুলিশ কনস্টেবল শাহাবুদ্দিন তার এই অপকর্মের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করতেন তার আপন বড় ভাই মোস্তফা এ সব প্রতারণার মাধ্যমে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার নারী পুরুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতে নিয়ে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে এই চতুর প্রতারক কনস্টেবল শাহাবুদ্দিন এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী তাদের এলাকার মেহেদী হাসানের স্ত্রী তানজিদা আক্তার বাদী হয়ে প্রতারক পুলিশ কনস্টেবল শাহাবুদ্দিন ও তার ভাই মোস্তফা নামে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন বন্দর কলাগাছিয়া নিসংঘ এলাকার মৃত সিরাজুল ব্যাপারে ছেলে শাবুদ্দিন ঢাকা মালিবাগ পুলিশ অফিসের একজন কনস্টেবল বিগত সরকারের আমলে চার বছর পূর্বে ছয় মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে ইসিজি পোস্টে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার বাই মোস্তফা সহায়তা ১০ লক্ষ টাকা নেয় এ পর্যন্ত চাকরি না দিয়ে নানা তার বাহানা শুরু করেন টাকা চাইতে গেলে প্রশাসনসহ বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের নেতা কর্মীদের ভয় দেখায় গত মাসের ২৯শে আগস্ট বড় ভাই আমার বড় ভাই রাসেল বিবাদীর বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন এ ব্যাপারে কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে আমি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে সুবিচারের আশায় গত ৪ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এই পুলিশ কনস্টেবল শাবুদ্দিন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিগত সরকারের আমলে পুলিশ কনেস্টেবল শাহাবুদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে নিজ এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ট্রেনিং সেন্টার খুলে শত শত নারী পুরুষের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়ে এলাকা ত্যাগ ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও জুয়েলার্স দোকান তৈরি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে। বর্তমানে পৃলিশ কনস্টেবল শাহাবউদ্দিন পরিবার পরিজন নিয়ে গা ডাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এসআই রাজু জানান, আমি শাহাবউদ্দিনকে ফোন করেছিলাম সে নাকি ঢাকা মালিবাগ এসবি অফিসে চাকরী করে। তবে সঠিক কী না তা আমি জানি না। বাধী তানজিদার পাওনা টাকা সে কিছুদিনের মধ্যে এলাকায় গিয়ে সমাধান করবে বলে জানান।
অভিযুক্ত শাহাবউদ্দিন জানান, আমার কাছে তারা এতো টাকা পাবে না, কিছু টাকা পাবে তা আমি এলাকায় এসে কয়েকদিনের মধ্যে সমাধান করবো। কিন্তু তিনদিনে সে এলাকায় আসেনি বরং বাদীকে হুম দিয়ে যাচ্ছে।