স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানধীন আদমজী ইপজেডের প্রায় সকল কারখানা মালিকদের অভিযোগ তাদের উপরে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ হুমকি-দমকি দিচ্ছেন আকরাম নামের এক কথিত ব্যাক্তি। এমনকি ব্যবসায়ীরা বৈধ লাইসেন্সধারী ঠিকাদারদের মালামাল দিতে চাইলে তা দিতে ও পারছেন এই আকরাম বাহিনীর অত্যাচারে। তা ছাড়া জানা গেছে, এই আকরাম বাহিনী কমাশয় জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নাম বিক্রি করে ইপিজেড এরিয়া দখলের পায়তারা করছেন। যাকে ঘিরে কিছু লোক ভাড়া করে নতুন প্রন্থায় ইপিজেডে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন এতে করে আদমজী ইপিজেড ব্যবসায় গত ১ মাস যাবৎ ধস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ দিকে একজন প্রতিষ্ঠান মালিক নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগে ইপিজেডে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রন করতেন মতিউর রহমান মতি। গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তার সাথে সেই সিন্ডিকেটে জড়িত থাকা কয়েকজন এখনো সেখানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। কিন্তু পট পরিবর্তনের সাথে সাথে আকরাম এসে অনেক কারখানা ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। তাকে ব্যবসা না দিলে নানা ধরনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এতে করে অনেকে আতঙ্কিত।
জানা গেছে, আজমজী ইপিজেড এই রপ্তানী প্রকৃয়াকরন এলাকায় প্রায় ৪৫টি শিল্প কারখানা রয়েছে। যেখানে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। বিগত প্রায় ১ মাস যাবৎ দলীয় বিভিন্ন পরিচয়ে ইপজেড গেইট অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয়রা। যার ফলে শিল্প কারখানাগুলো তাদের ওয়েষ্টেজ গার্বেজ অপসারন করতে পারছে না। তা ছাড়া ও ইতিমধ্যে অনেকগুলো কোম্পানীর বায়ার কমপ্লায়েন্স অডিট আপত্তির মুখোমুখি হয়ে বিদেশি বায়ার অর্ডার হারানোর ঝুঁকিতে আছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও তার দুই পুত্র ফয়সাল, কায়সার রিফাতের নাম ব্যাবহার করে তাদের ইমেজ সংকটে ফেলতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আকরামের নেতৃত্বে মাইনুদ্দিন, সাগর আহম্মেদ, রফিকুল, অনিক, টাইগার ফারুক, সেলিম ঢালী, পবন হিরাঝিল, রনি গাজী, নেতা শুভ, কালুসহ মতিউর রহমান মতির সিন্ডিকেটের জড়িত থাকা কয়েকজন এরা প্রায় প্রতিদিন কাল্পনিক দাবি দাওয়া নিয়ে, মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশ করে ৪ থেকে ৫ শত লোক ভাড়া এনে জমায়েত করে অবরোধ করছে ও বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে বিভিন্ন কোম্পানীর কর্মকর্তারা আদমজী ইপিজেড এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মাহবুব আহম্মেদ সিদ্দিককে এই সমস্যার কথা জানান এবং দ্রæত সমাধানের অনুরোধ করেন। তা ছাড়া ইতিমধ্যে ইপজেডের ইডি অবরোধকারী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের অনুরোধ করছেন ইপিজেড এর কোম্পানী সমূহের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে বিশ^াস আস্থা অর্জন করে পারস্পারিক চুক্তি বদ্ধ হয়ে বৈধ ঠিকাদার বেপজার বৈধ ঠিকাদারী লাইসেন্স বা ব্যাক্তির সাথে শান্তিপূর্নভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবেন এবং অপরা-পর ব্যবসায়ী ও মহসতের নেতাকর্মীদের সাথে শান্তিপূর্ণসহ অবস্থান করে ওয়েস্টেজ ও গার্বেজ অপসারণ করার জন্য অনুরোধ করেন বলে জানিয়েছে সূত্র।
তা ছাড়া অবরোধ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা কাল্পনিক দাবির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বেপজা কতৃপক্ষ বৈধ লাইসেন্সধারী ঠিকাদার মালামাল বেড় করার অনুমতি দেয় কিন্তু স্থানীয় কতিপয় উক্ত সন্ত্রাসীরা ট্রাক আনলোড করে খালি অবস্থায় বেড় করে দেওয়া হয়। এদিকে কোম্পানী সমূহের একান্ত অনুরোধ কোন ঠিকাদার মালামাল ভর্তি ট্রাক নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। তা ছাড়া উক্ত লুটপাটকারী ও অরাজকতা সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশের প্রধান রপ্তানীখাত রক্ষার জন্য শিল্প উদ্যোগতাদের অরেকে সাময়িক সময়ের জন্য হলে ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এলাকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। বর্তমানে ব্যাবসায়ীরা যৌথ বাহিনীর হস্তান্তর কামনা করছেন।