সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি তপু গোল করতেও সক্ষম। আজ তপুর পেনাল্টি থেকে করা গোলেই বাংলাদেশ সাফে শুভ যাত্রা করেছে। তপুর একমাত্র গোলে বাংলাদেশ ১-০ গোলে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। অস্কার ব্রুজনের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অভিষেক হলো জয় দিয়েই।
৫৭ মিনিটে বাংলাদেশ পেনাল্টি পায়। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন তপু বর্মণ। ক্লাব ও জাতীয় দল উভয় ক্ষেত্রে পেনাল্টিতে গোলে সিদ্ধহস্ত তপু। আজও পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। গোলটি করেই অন্যরকম এক হ্যাটট্রিক করে বসেন বাংলাদেশি এই ডিফেন্ডার।
মধ্যমাঠ থেকে বক্সের উদ্দেশে বাড়ানো হয়েছিল বল। কিন্তু তা লঙ্কান ডিফেন্ডার ডাকসনের হাতে লাগে। বাংলাদেশের ফুটবলারদের আবেদনের আগেই সিরিয়ান রেফারি ফেয়ার্স টাওয়েল পেনাল্টির বাশি বাজান। লঙ্কান ফুটবলাররা রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। এতে আরো বিপদ ডেকে আনেন তারা। হ্যান্ডবল করা ডাকসনকে আরেকটি হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। দুই হলুদ কার্ডে ডাকসনকে মাঠ ছাড়তে হয়। লঙ্কান দল দশ জনে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ পেনাল্টিতে গোল করে।
দশ জনের বিপক্ষে বাংলাদেশ যতটুকু প্রাধান্য বিস্তার করে খেলার কথা ছিল ততটা পারেনি। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে বিপলু আহমেদ, রাকিব হোসেন অনেকটা নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করেন। ম্যাচের শেষ দিকে একদম বক্সের উপর ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক জামালের নেয়া শট লঙ্কানদের তৈরি করা দেয়ালে প্রতিহত হয়।
বাংলাদেশ কোচ অস্কার ব্রুজন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সাদ উদ্দিনকে নামান জুয়েল রানার পরিবর্তে। সাদ নামার পর বাংলাদেশের আক্রমণে গতি কিছুটা বাড়ে। এরপর ইব্রাহিমের জায়গায় সুফিল ও সুমন রেজার জায়গায় মতিন মিয়াকে নামান অস্কার। পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের আক্রমণের ধার বাড়ালেও স্কোর বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারেনি।
‘বাংলাদেশ,বাংলাদেশ’ শব্দে আগে থেকেই মুখরিত ছিল মালে জাতীয় স্টেডিয়াম। তপুর গোলের পর মালে স্টেডিয়াম গর্জে উঠে আরো। ভুভুজেলার শব্দে তখন কান পাতা দায়।