ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা-সিলেট ঘুরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবার পৌঁছে গেছে শেষ গন্তব্য ঢাকায়। যেখানে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্দা নামবে জমকালো আয়োজনের।
লিগ পর্বের ৩২ ম্যাচ শেষ হয়েছে। আরো আছে ১০ ম্যাচ। এরপর একটি এলিমিনেটর ম্যাচ। দুটি কোয়ালিফায়ার ও সবশেষে ফাইনাল। সবকটি ম্যাচই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়।
১০ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে কেবল সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্লে অফ বা শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় ২টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে সবার শীর্ষে। ১২ পয়েন্ট রয়েছে দুই দলের। রান রেটে এগিয়ে সাকিবের ফরচুন বরিশাল। তিনে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দুই দলেরই ৯ ম্যাচে ৬ জয়। হেরেছে ৩টি করে ম্যাচ। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে রংপুর রাইডার্সের অবস্থান চারে। মূলত এ চার দলেরই প্লে অফের সম্ভাবনা বেশি।
তবে লড়াইয়ে আছে বাকি দলগুলোও। ঢাকা ডমিনেটর্স ১০ ম্যাচে জিতেছে তিনটিতে। খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৯ ম্যাচে দুটি করে জয় পেয়েছে। কাগজে কলমে তাদের সম্ভাবনা আছে সেরা চারে যাওয়ার। তবে সেজন্য অনেক হিসাবনিকাশ করতে হবে।
সামনে দলগুলোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। প্রায় প্রতিটি দল শুরুর কঠিন সময় পার করে গুছিয়ে নিয়েছিল। খেলায় ফিরেছিল ছন্দ। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটারদের রসায়নও জমে উঠেছিল। দাঁড়িয়ে গিয়েছিল টিম কম্বিনেশন। কিন্তু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বিপিএল ছেড়ে চলে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা হজম করতে হবে সব দলকেই। সব দলেরই সামনে ভালো কিছু করার সমান সুযোগ থাকবে।
তবে আবার পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বিদেশি খেলোয়াড়রাও। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বদলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে খেলোয়াড় উড়িয়ে আনছে অনেকে। তাদের উপস্থিতিতে শেষটা আরো চাক্যচিক্যময় হতে পারে।
সিলেট শিবিরে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ ইরফান ও গুলবাদিন নাইব। পিএসএল খেলতে চলে গিয়েছেন মোহাম্মদ আমির, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ হারিস। নতুন যারা এসেছে তাদের ওপর ভরসা রাখছে সিলেট। দলটির কোচ রাজিন সালেহ বলেছেন, ‘ইরফান এর আগেও খেলেছে বিপিএল। ওর অভিজ্ঞতা আছে। এর আগে রাজশাহী রয়্যালস যেবার চ্যাম্পিয়ন হলো, আমি ছিলাম কোচ, সেবার ইরফানও রাজশাহীতে খেলেছে। ওটাতেও সে ভালো খেলেছে। আমি আশা করি যে বাংলাদেশের উইকেটে সে তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবে এবং ভালো খেলবে।’
ইমাদ নিয়মিত খেলায় নাজমুল ইসলাম অপু ও নাবিল সামাদ সুযোগ পাননি। অভিজ্ঞ এ দুই স্পিনারকে সুযোগ দেওয়ার কথা বললেন রাজিন, ‘আমাদের স্থানীয় যারা আছে তারা অনেক অভিজ্ঞ স্পিনার। যেমন নাবিল সামাদ আছে, নাজমুল ইসলাম অপু আছে যারা বিগত দিনে পারফর্ম করে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা খেলতে পারেনি, আমরা আশা করবো যেহেতু ইমাদ চলে গিয়েছে তার জায়াটা এরা পূরণ করতে পারবে।’