নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আজকে শেখ রাসেলের জন্মদিনে দাঁড়িয়ে আমরা দাবি করছি, নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যারও বিচার করা হোক। যেটি অত্যন্ত আলোচিত হত্যাকান্ড। এই শহরে এরকম আরো অনেক হত্যাকান্ড ঘটেছে। আমরা চাই সে হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হোক।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জে চারুকলা ইন্সটিটিউট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সকল বাচ্চাকে হত্যা করা অপরাধ। নারায়ণগঞ্জ শহরে যত শিশু হত্যা হয়েছে আমরা সকল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের যে ভাবে বিচার হয়েছে তদ্রুপ ভাবে নারায়ণগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করে।
তিনি বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই, কারণ মানবতার জননী তিনি। তার কাছে বিচার চেয়ে সবাই বিচার পায়। তাই তার কাছে আমাদের অনেক বেশি দাবি।
মেয়র আইভী বলেন, আমরা এই পার্ক করেছিস শেখ রাসেলের নামে। আমরা শেখ রাসেলকে স্মরণ করার জন্য, স্মরণীয় করে রাখার জন্যই পার্ক তার নামে করেছি। আমি মাননীয় রেলমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি আজকের এই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে, আমরা এই পার্ক করেছি ড্যাপ ডিটেল এরিয়া প্যানেলের নকশা দেখে । নকশা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের খেলাঘর মামলা করেছিল, এবং হাইকোর্টে রায় অনুযায়ী এবং আরো অনেক কাগজপত্রের বিনিময়।
তাই আমি মাননীয় রেলমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আপনি এই পার্কে আসে ঘুরে দেখেন। এবং আপনিও শেখ রাসেলের নামে এ পার্ক করার অনুমতি দিয়ে দেন। আমরা আজকে শেখ রাসেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, কারণ বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টি থেকে এই পার্কের অনুমোদন দেওয়া আছে। আমি জানিনা আপনি কেন, কি কারণে এ পার্কের অনুমতি দিতে চাচ্ছেন না। তাই আমি আপনাকে বলতে চাই, আপনি আপনি আসেন ঘুরে দেখেন, এবং এই বাচ্চাদের অনুরোধে এই পার্কটি শেখ রাসেলের নামে করার অনুমতি দেন।
মেয়র বলেন, আমরা চাই শেখ রাসেলকে স্মরণীয় করে রাখতে। আমরা চাই বা না চাই ইতিহাসের পাতায় তার স্থান হবে সর্বোচ্চ স্থান। এবং সে যেখানেই থাকুক আল্লাহর দরবারে সে বেহেশতী শুধু সে না, তার পরিবারের সকলেই। আমরা দোয়া করি। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক এবং ইতিহাসের পাতায় তার নাম যেন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে। এবং আমি বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বের সকল নাগরিককে বলতে চাই, এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড যাতে আর কখনো না ঘটে। এবং যেটা হয়েছে ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ বলেই মনে করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর শাওন অংকন। আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমুখ।