রুদ্রবার্তা২৪.নেট: শীতলক্ষ্যা ট্রাভেলস পরিচালনা আর মালিকানা নিয়ে কড়া সতর্ক বার্তা দিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিংহভাগ শেয়ারের মালিক হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়ম তিনি বলেন, শিগ্রই যদি এর কোন সুরাহা না হয় তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। শুধু তাই নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও এ ব্যাপারে নালিশ করা হবে বলে এমনটাই গণমাধ্যমকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন। প্রতিষ্ঠানটির আরেক কর্ণধার দবির উদ্দিন আহমেদ গত ১৫ মাস পূর্বে মৃত্যুবরণ করলেও বর্তমানে তার ছবি আর স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে মৃত মানুষকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জীবিত উপস্থাপন করে, প্রতিষ্ঠানটির সিংহভাগ শেয়ার হোল্ডার হওয়া সত্ত্বেও কোন ব্যবসায়িক মুনাফা না দিয়ে একরকম জোরপূর্বক ভাবে প্রতিষ্ঠানটি দখলদারিত্ব সৃষ্টি করা সহ এমন সব গুরুতর অভিযোগ আর অনিয়মের কথা সাম্প্রতিক কালে সংবাদ বিজ্ঞন্তির মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতি দৃষ্টি আরোপ করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন এর করা অনিয়েমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার প্রতিষ্ঠানটি। পরিচালনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে অন্যান্য শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক রূপ। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে আরো অধিকতর জানতে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে চত্রটি প্রতিষ্ঠানটি গ্রাস করে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে এর অধিপত্য বিস্তার করে একরকম দখল দায়িত্ব সৃষ্টি করেছে তাদের খায়েস কোনদিনই পূরণ হবে না। অন্তত আমি বেঁচে থাকতে এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। আমি প্রতিষ্ঠানটির সিংহভাগ শেয়ার হোল্ডার আর মালিক হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবত এর থেকে কোন ব্যবসায়িক মুনাফা সহ কোনই সুবিধা পাচ্ছিনা, আমাকে আমার কোন অধিকার বা প্রাপ্য প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য পরিচালক বৃন্দ বুঝিয়ে দিচ্ছেনা আমার বড় ভাই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার বীর মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন আহমেদ মৃত্যুবরণের পর অভ্যন্তরীণ একটি অসাধুচক্র প্রতিষ্ঠানটিকে বাগিয়ে নিতে এর সকল দখলদারিত্ব সৃষ্টি করে বসে আছে। যাই হোক, আমি আমার পক্ষ থেকে এই মর্মে সতর্ক করছি যে, শিগ্রই যদি এর কোন সুরাহা না হয় তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে আদালতের দ্বারস্থ হবো। শুধু তাই নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও এ ব্যাপারে নালিশ করবো।
তিনি আরো বলেন, গত ১৮ জুন সন্ধায় আমার ফুপাত বড়ভাই কাজি আনোয়ার হোসেন সাহেবের মোটো ফোনে কথা হয় শীতলক্ষ্যা ট্রাভেলসের কর্মকান্ড নিয়ে সেখানে তার করতোয়া ট্রাভেলস-এর বিরুদ্ধে স্থানিয় দুইটি পত্রিকায় মিথ্যা প্রতিবাদ প্রকাশিত হয় সে বিষয়ে আমার ফুপাত ভাইএর কাছে জানতে চাই আমার ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবাদে স্বাক্ষর করেছেন। কেন। তখন উত্তরে বলেন আমি পড়ে দেখিনি, আমাকে স্বাক্ষ্যর করতে বলেছে আমি করেছি। আমি বোঝতে পারিনি। যাহাহউক আমরা এক সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করি। তখন আমি বলি ঠিকআছে যেখানে বসেন আমি বসতে রাজি কিন্তু ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সকল আপডেট কাগজ পত্র নিয়ে কাতে হবে।
এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বৃন্দের কাছে আন্তরিকতার সাথে বলছি, যে কোন দিন যেকোনো সময় এবং যেকোন স্থানে বিষয়টির সুরাহা করতে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি চাই কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বাঁচিয়ে রেখে এর কার্যক্রম সফলতার সাথে চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে হাজীদের আরও উন্নতমানের সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে। শীতলক্ষর ট্রাভেলস বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের একটি বিশ্বস্ত হজ এজেপি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে সবার কাছে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা আর কার্যক্রম নিয়ে কোন রকমের আলোচনায় আসুক তা আমি চাইনা। বর্তমান এই রেষারেষি, অনিয়ম হতে পারে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের অন্যতম কারণ। যা মোটেও কাম্য নয়। সবার প্রাপ্য আর অধিকার বুঝিয়ে দিলেই আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। আমি আশা করি প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে থাকা পরিচালক বৃন্দের শিগগিরই শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতি শীতলক্ষ্যা ট্রাভেলস এর মালিকানা আর ব্যাপক প্রতারণা আর অনিয়মের অভিযোগের কথা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন-প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব দবির উদ্দিন আহমেদ প্রশ্ন ১৫ মাস আগে মৃত্যুবরণ করলেও বর্তমানে তার ছবি ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে চলছে ব্যাপক জালজালিয়াতি। মৃত ব্যক্তিকে জীবিত উপস্থাপন করে দেখানো হচ্ছে মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু কেন এমনটি করা হচ্ছে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। শুধুমাত্র অসৎ উদ্দেশ্য থাকলেই মানুষ এমনটি করে।তিনি আরো বলেন-আমি মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন শীতলক্ষা ট্রাভেলস লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি পর্যটন মন্ত্রণালযের মাধ্যমে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৮ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। তখন এর একমাত্র কর্ণধার ছিলাম আমি নিজে । আমি আমার মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিষ্ঠানটি এ প্রযস্ত সফলতার সাথে পরিচালনা করি। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান হজ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে তাদেরকে আলাদাভাবে হজ লাইসেন্স দেয়ার জন্য সরকার ২০০২ সালে প্রথম হজ লাইসেন্স দেয়ার ঘোষণা করলে আমি ও আমার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন আহমেদ সেই সাথে আমার ফুফাতো ভাই কাজী আনোয়ার হোসেন মিলে একটি হজ লাইসেন্সের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শীতলক্ষা ট্রাভেলস নামে হজ লাইসেন্স গ্রহণ করি। এরপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে একটি পার্টনারশিপ ডিড তৈরি করে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করি। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় জয়েন্ট স্টক থেকে একটি মেমোরেন্ডাম করে তিনজনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা শেয়ার ডিক্লেয়ার করি। জন প্রতি ৫০০ করে শেয়ারের মালিকানা গ্রহণ করে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সফলতা আর বিশ্বস্ততার সাথে পরিচালনা করে আসছি। তাই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম গতিশীল আর কোবান রাখতে আমাদের পরিবারের মধ্য থেকে আমার কয়েকজন ভাতিজা ও আমার বড় ভাইয়ের শ্যালকসহ এমন কয়েকজনকে নিয়োগ দেই। যাদের নিয়ে আমাদের তৎকালীন কালির বাজার এ সি ধর রোডে অবস্থিত অফিসে হজের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করি। তখন প্রতিষ্ঠানটি খুবই লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে। ২০১৩ সালে শীতলক্ষ্যা ট্রাভেলস এর মাধ্যমে হাজীদের নিয়ে পবিত্র মক্কাতুল মুকাররামা আর মদিনাতুল মনোয়ারায় অবস্থান করাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির অপর দুজন মাণিক আমার অনুপস্থিতিতে আমার আগোচরে মেমোরেন্ডাম চেষ্ট করে আমার বড় ভাইকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে। আমি বাংলাদেশে এসে সব জানতে পারি, যেহেতু নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমার আপন বড় ভাই তাই বিষয়টিকে জটিল আকারে না দেখে স্বাভাবিকভাবে দেখার চেষ্টা করি ব্যবসায়িক স্বপ্নে প্রতিষ্ঠানটিকে কালির বাজার থেকে বঙ্গবন্ধু রোডে স্থানান্তর
করা হয়।
এরপর আমার বড় ভাই ও আমার ফুফাতো ভাই কাজী আনোয়ার হোসেন তাদের নিজেদের শেয়ার থেকে ৩০০ করে মোট ৬০০ শেয়ারের মালিকানা অফিসে কর্মরত আত্মীয়দের মাঝে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু জয়েন্ট স্টকের মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী আমার মালিকানাধীন ৫০০ শেয়ার আমার অধীনে থেকে যায়, যা আজও কারো কাছে বিক্রি করা হয়নি। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আজ থেকে প্রায় ১৫ মাস আগে শীতলক্ষ্যা ট্রাভেলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব দবিরউদ্দিন আহমেদ এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে মহান আগ্রহ জাত শানুর ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমি ও আমার পরিবার শোকাহত হই, সেই সাথে ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুবই মানসিক ভাবে ভেঙ্গেপরি। সকল ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে একটু অমনোযোগী হই তখন। আর আমার ফুফাতো ভাই কাজী আনোয়ার হোসেন আমার অনুপস্থিতির কারণে সেও একটু প্রতিষ্ঠানটি থেকে দূরে সরে থাকে। আমাদের এ দুজনের অনুপস্থিতির প্রেক্ষিতে সময় আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতষ্ঠানটির অন্যান্য শেয়ার হোল্ডার যারা আমার আত্মীয় তারা পারিবারিক সম্পর্ক ভুলে গিয়ে নিজেদের মধ্যে আতাত করে তাদের ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে, যা আজ পর্যন্ত আমি এর কোন কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নই। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। তাদের নিজেদের ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তার করে আমাকে আমার সকল ব্যবসায়িক লভ্যাংশ আর সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ শেয়ারের মালিক আমি সেহেতু প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোন হাজী বা প্রতিষ্ঠানটি কোন ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর অধিকাংশ লাইবিলিটি আমার উপর বর্তাবে। আর এটি নিয়ে বর্তমানে আমি খুবই চিন্তিত। শুধু তাই নয়, চক্রটি আমার মৃত ভাইকে জীবিত দেখিয়ে তার স্বাক্ষর ও ছবি এবং আমার স্বাক্ষরও জালিয়াতি করে মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট প্রতষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করছে বলে জানতে পেরেছি । যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারাণ আমার আত্মীয়-স্বজন তাই এতদিন কিছুই বলিনি, নীরবে শুধু সহ্য করে গেছি। বিষয়টি অতিসত্বর সুষ্ঠুভাবে কোন সুরাহা না হলে দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবো। সেই সাথে বিষয়টি অবগত করতে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর সহ হজ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ অভিযোগটি জানানোর ব্যাপারে সকল প্রতিয় অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি।