ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ফুটপাথে কমপক্ষে ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও বহাল রয়েছে রেন্ট-এ-কার স্ট্যান্ড। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বেলা ১২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও সড়ক ও জনপদ বিভাগ(সওজ) এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
উচ্ছেদ অভিযানে শিমরাইল মোড়ের দক্ষিণ পাশে উচ্ছেদ করা হলেও উত্তর পাশ ও দক্ষিণ পাশের অবৈধভাবে গড়ে উঠা রেন্টেকার স্ট্যান্ডে অভিযান চালায়নি সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ফুটপাথ, মার্কেটের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিলো দখলকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের দু’পাশে সরকারি জমি দখল করে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি,সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ চক্র বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তুলে ভাড়া বাণিজ্য করে আসছিল।
এসব দোকানপাট থেকে দৈনিক ভাড়া ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নিয়েছে অবৈধ দখলকারীরা।
সূত্রে আরও জানা যায়, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা সিব্বিরের ভাই জসিম অবৈধ রেন্টে কার ও গড়ে উঠা দোকান পাট থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। বর্তমানে জসিম রেন্টেকারের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) এক কর্মকর্তা জানান, মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে উচ্ছেদ করা হলেও রেন্টে কার স্ট্যান্ড উচ্ছেদ না করতে বিভিন্ন মহল থেকে তদবির এসেছে। তাই সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় নি।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরে আলম, উপ-সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মনির হোসেন, থানা পুলিশের এসআই আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরে আলম বলেন, মহাসড়কে কোন ধরণের অবৈধ দোকানপাট বসানো যাবে না।
এদিকে মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও রেন্টেকারসহ তার আশেপাশের স্থাপনা কেনো উচ্ছেদ করা হয়নি জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে মার্কেটের সামনে গড়ে উঠা যে স্থাপনা ছিলো সেগুলো উচ্ছেদ করেছি।
সময়ের অভাবে রেন্টেকারে অভিযান চালাতে পারিনি। আগামী সপ্তাহে রেন্টেকারসহ আশেপাশের সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।