পাকিস্তানের মুলতানে আজ পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের এবারের আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ প্রথমবার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলতে আসা নেপাল। পর দিন শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে লিটন দাসকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে টাইগারদের। জ্বর সেরে না ওঠায় গতকালও রওনা দিতে পারেননি এই ওপেনার। প্রথম ম্যাচে লিটনকে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে, নিশ্চিত করলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ‘লিটন দাসকে আমরা প্রথম ম্যাচে পাব না। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাকআপ পাঠানোর পরিকল্পনা নেই আমাদের। কালকে পর্যন্ত দেখি। লিটন শ্রীলঙ্কায় যাবে নাকি সরাসরি পাকিস্তানে যাবে, সেটি আসলে মেডিকেল বিভাগ আমাদেরকে সবুজ সংকেত দেওয়ার পর বলা যাবে। আমরা অপেক্ষা করছি।’
হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কায় প্রথম ম্যাচ খেলে এরপর পাকিস্তানের বিমান ধরবে বাংলাদেশ দল। আগামী রোববার লাহোরে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে পারলে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচও লাহোরে খেলবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে লিটনকে শ্রীলঙ্কায় না পাঠিয়ে সরাসরি পাকিস্তানেই নেওয়া হবে কি না, তা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি জানালেন, লিটনের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি, ‘আজকে (গতকাল) সকালেও লিটন দাসের জ্বর ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। জ্বর যেহেতু পুরোপুরি কমেনি, তাই আমরা কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না। লিটনের পুনরায় ডেঙ্গু টেস্ট করানো হয়েছিল। সেখানে আবার নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি, কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও এখন অনেক সময় ধরা পড়ে না পরীক্ষায়। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যখনই সুস্থ হয়ে উঠবে, আমরা জানিয়ে দেব।’
বিসিবির মেডিকেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এদিন সকালেই লিটনের আরেকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষার রিপোর্টের উপর বোঝা যাবে তার অবস্থা। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে উঠলে আজও লিটনকে শ্রীলঙ্কায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা। সেক্ষেত্রে ৩ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা অন্তত তিনি খেলতে পারেন।
প্রথম ম্যাচে লিটনের না থাকার মানে আরও প্রশস্ত হলো তানজিদ হাসানের অভিষেকের পথ। যেখানে স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গী হবেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে প্রায় আড়াই বছর আগে সবশেষ ওয়ানডে খেলা নাঈমের অভিজ্ঞতা মোটে ৪ ম্যাচের। তরুণ বাঁহাতি তানজিদ এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাননি। ফলে অপরীক্ষিত ও অনভিজ্ঞ উদ্বোধনী জুটি নিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করতে হবে বাংলাদেশকে।
তানজিদ-নাঈমদের কাজ সহজ হতে পারে গত মাসে শ্রীলঙ্কার মাঠে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ খেলার অভিজ্ঞতায়। ওই আসরে ১১৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৫ ছুঁইছুঁই গড়ে ১৭৯ রান করেন তানজিদ। নাঈম করেন ৯৯.২০ স্ট্রাইক রেট ও ৪১.৬৬ গড়ে ১২৫ রান। এর আগে চোটের কারণে আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন গত এক বছরে বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে বোলার ইবাদত হোসেন চৌধুরি।