ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বড় আকর্ষণটাই সম্ভবত বিদেশি ক্রিকেটার। বিপিএল, পিএসএল কিংবা এলপিএল– বিশ্বের সব ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগেই নামী বিদেশি তারকাদের উপস্থিতিটাই যেন এখন টুর্নামেন্টের মান যাচাইয়ের বড় মানদণ্ড। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ হিমশিম খেয়েছে। সেখানে পাকিস্তান সুপার লিগ রীতিমত তারার হাট খুলে বসেছে ২০২৫ এর আসরকে কেন্দ্র করে।
ডেভিড ওয়ার্নার, কেইন উইলিয়ামসন, ফিন অ্যালেন কিংবা ড্যারিল মিচেলের মতো তারকারা আসছেন এবারের পিএসএলে। নামী খেলোয়াড়দের জায়গা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এবার আর্থিক দিক থেকেও নিশ্চয়তা দিচ্ছে পিসিবি। পিএসএলে থাকা সব দলের প্লাটিনাম ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের এই লিগের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে আর্থিক সাহায্য করছে বোর্ড।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর বলছে, পিসিবি ১০ লাখ ডলারের একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় প্রায় ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সেখান থেকে ছয় বিদেশি ক্রিকেটারের প্রত্যেককে ১ লাখ ডলার করে প্রদান করবে। যা খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ড্রাফট থেকে ডেভিড ওয়ার্নারকে করাচি কিংস লাখ ডলারে দলে ভিড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর ওয়ার্নারকে করাচি কিংস দেবে ২ লাখ ডলার আর ১ লাখ ডলার দেবে পিসিবি। এর মাধ্যমে এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি দামের খেলোয়াড়দের বেস প্রাইজ গিয়ে ঠেকেছে ৩ লাখ ডলারে।
এর আগে পিএসএলে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছিলেন কাইরন পোলার্ড এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স। পোলার্ড চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আড়াই লাখ ডলারে। আর ২ লাখ ৩০ হাজার ডলারে খেলেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। নতুন সিদ্ধান্তের পর কেইন উইলিয়ামসন আর ডেভিড ওয়ার্নাররা হবেন পিএসএল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বেতনের খেলোয়াড়।