নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বলাইখা এলাকায় যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বলাইখা এলাকায় কামাল বাহিনী ও আলআমিন বাহিনীর লোকজনের মধ্যে ফুটপাতের দোকানের চাঁদাবাজির আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন, একটি রাজনৈতিক অফিসসহ ৫টি বাড়িতে ভাংচুর, দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় কোরবান আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন।
এছাড়াও অন্তত পক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিল্প-কারখানার শ্রমিকসহ আতঙ্কে আছেন ভূলতার ফুটপাতের দোকানীরাও।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের মাঝে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গোলাকান্দাইল নতুন বাজারের গার্মেন্টস এলাকায় ফুটপাতের দোকান থেকে যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের শ্যালক ফয়সাল নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল। এলাকায় আধিপত্য নিতে যুবলীগ নেতা আল-আমিন তার লোকজন দিয়ে ফুটপাতের দোকানের আধিপত্য তার দখলে নিয়ে নেয়।
এর জের ধরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আল-আমিন গ্রুপ ও কামাল গ্রুপ পিস্তল, রামদা, চাপাতিসহ এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পূনরায় দুই গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
কোরবান আলী নামে এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে রাতভর আরো কয়েক দফায় দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে গতরাতে অভিযান পরিচালনা করেছে এবং আজও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কোন সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।