রুদ্রবার্তা২৪.নেট: গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড ফ্যাক্টরিতে হতাহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ৬৪টি সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সংগঠনগুলো বিবৃতি প্রদান করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হাসেম ফুড ফ্যাক্টারিতে নিহত ও আহতদের প্রতি আমরা গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি; সাথে সাথে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর ১২১ ধারা অনুযায়ী নিহতদের প্রতি পরিবারকে এক কর্মজীবনের বেতনের সমপরিমান টাকা ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা এই কারখানার মালিক এবং বিভিন্ন সংস্থার যারা যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের সবার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা এই কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিকের বকেয়াসহ সমস্ত বেতন ও ঈদ-বোনাস ঈদুল আযহার আগেই প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, এই মর্মান্তিক ঘটনায় অভিযুক্ত অপরাধীদের পক্ষে আদালতে কোন আইনজীবী অংশগ্রহণ করবেন না।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর দাতা সংগঠন গুলো হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), খেলাঘর নারায়ণগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাসদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিকফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কমিউনিস্ট পার্টি, উদীচী, গণ সংহতি আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, নারী সংহতি, প্রতিবেশ আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, প্রগতি লেখক সংঘ, সমগীত, গঙ্গাফড়িং, শ্রæতি সাংস্কৃতিক একাডেমি, ধাবমান সাহিত্য আন্দোলন, কণ্ঠমালা আবৃত্তি সংগঠন, যুব ইউনিয়ন, সমমনা, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বাংলাদেশ মুকাভিনয় ফেডারেশন, আনন্দধারা, বসন্ত বাহার একাডেমি, প্রগতি সাহিত্য পরিষদ, এই বাংলায়, উন্মেষ, অনন্যা সাংস্কৃতিক একাডেমি, উঠান থিয়েটার, কথন আবৃত্তি সংগঠন, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, অশোক স্মৃতি সঙ্গীতাঙ্গণ, ক্রান্তি খেলাঘর, সত্যাশ্রয়ী খেলাঘর, অগ্নিবন্যা খেলাঘর, সমীরণ খেলাঘর, একতা খেলাঘর, ডিঙি পানশী খেলাঘর, সোনারগাঁ উপজেলা খেলাঘর, রূপগঞ্জ উপজেলা খেলাঘর, অনির্বাণ খেলাঘর, লহরী খেলাঘর, হাতেখড়ি খেলাঘর, সুপ্তি খেলাঘর, মৌচাক খেলাঘর, ঝেলিমিলি খেলাঘর, ঐকান্তিক খেলাঘর, প্রজাপতি খেলাঘর, শহুরে গায়েন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, ষড়জ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, অর্চণা একাডেমি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী ও যুবমৈত্রী।