৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী শোয়াইব রহমান এবং দেবর সামিউর রহমান শোয়াইব নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শোয়াইব এবং সামিউর দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে। এই মামলায় বর্তমানে জেলে আছেন তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহীদুল ইসলাম জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় শোয়াইব এবং সামিউর রহমান নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী গিয়াসউদ্দিন ফতুল্লা মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ্য করেন, গত ৫ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে সামাজিক ভাবে শোয়াইবের সাথে তার মেয়েকে পারিবারিক ভাবে বিবাহ দেয়া হয়। বিবাহের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র এবং সাংসারিক জিনিসপত্র সহ ৮ লক্ষ টাকার মালামাল প্রদান করা হয়। তাহাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান (২) জন্মগ্রহণ করে। এরপর কিছুদিন পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী শোয়াইব এবং দেবর সামিউর এবং শাশুরি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তার একমাত্র নাতির কথা চিন্তা করে তার মেয়ে সংসার টিকাইয়া রাখার জন্য সকল অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করিয়া আসিতেছিল। এক পর্যায়ে বিবাদীদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে যৌতুক লোভী স্বামী শোয়াইবসহ তার পরিবারকে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এর কিছুদিন না যেতেই পূনরায় যৌতুকলোভী স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার মেয়েকে মানসিক টর্চার করে আসছিল। তার মেয়ে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় অভিযুক্ত যৌতুক লোভী স্বামী শোয়াইব ও তার মা এবং ছোট ভাই সামিউর রহমান তার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আযম বলেন, এজাহারভুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।