‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগানে রাশিয়া বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছিল হ্যারি কেইনরা। কিন্তু ইংল্যান্ডের শিরোপার মিশন থেমে যায় সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে। এবারও ইংল্যান্ড শিরোপার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু মাঠে নামার আগে তাদের হাকডাক একটু কমই।
১৯৬৬ সালের পর ইংল্যান্ড কোনোবারই শিরোপা জিততে পারেননি। তবে বরাবরই তারা ফেভারিট। এবারও তাই। কাতার বিশ্বকাপে তাদেরকে গোনার বাইরে রাখেনি কেউ। একদিক থেকে কিন্তু তারা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, জার্মানির চেয়ে এগিয়েও আছে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ৩২ দলের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দল ইংল্যান্ড।
খেলোয়াড়দের ট্রান্সফার মার্কেটের মূল্য যাচাই করে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দল হয়েছে। পুরো ইংল্যান্ড দলের মূল্য ১.২৬ বিলিয়ন ইউরো। এ দলে তিনজন খেলোয়াড়ই আছে যাদের ট্রান্সফার মূল্য ৮০ মিলিয়ন ইউরো বা তারও উপরে। তারা হলেন হ্যারি কেন, ফিল ফোডেন ও জ্যাডন সানচো।
দুইয়ে আছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়রদের ট্রান্সফার মূল্য ১.১৪ বিলিয়ন ইউরো। এই দলে সবচেয়ে ব্যয়বহুল খেলোয়াড় কিন্তু আবার রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস। নেইমারও আছেন পিঠাপিঠি অবস্থানে।
ব্যয়বহুল দলের এই তালিকায় সাতে অবস্থান আর্জেন্টিনার। মেসিদের বাজারমূল্য ৬৩৩ মিলিয়ন ইউরো। পিএসজির সুপারস্টার মেসি যার সিংহভাগ দখল করে রেখেছেন। বিলিয়নের ঘরে তিন নম্বর দলটি হলো ফ্রান্স। এমবাপ্পে, পগবা, গ্রিজম্যানদের বাজারমূল্য ১.০৮ বিলিয়ন ইউরো। বলার অপেক্ষা রাখে না, শুধু এমবাপ্পের বাজার মূল্যই এখানে আকাশচুম্বি।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের বাজারমূল্য ৯৩৭ মিলিয়ন ইউরো। রোনালদোর পারিশ্রমিকে ভাটার টান থাকলে সানচোস, অ্যান্থনিদের পারিশ্রমিক কিন্তু বেশ নজরকাড়া। স্পেনের বাজারমূল্য ৯০২ মিলিয়ন ইউরো। চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির মূল্য ৮৮৫ মিলিয়ন ইউরো।
বাজারে নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড়দের কদরও বেশি। ৫৮৭ মিলিয়ন ইউরো বাজারমূল্য ডাচ খেলোয়াড়দের। শীর্ষ দশে শেষ দুটি দল বেলজিয়াম ও উরুগুয়ে। বেলজিয়ামের বাজারমূল্য ৫৬৩ মিলিয়ন ইউরো। যেখানে ম্যানচেস্টার সিটির সুপারস্টার কেভিন ডি ভ্রুইনার দাম রয়েছে ১২০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি। উরুগুয়ের বাজারমূল্য ৪৪৯ মিলিয়ন ইউরো।