১২ বলে একটা ছক্কা হলেই যথেষ্ট ছিল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সমর্থকরা একটা ছক্কার অপেক্ষাতেই ছিলেন। প্রথমবার কুমিল্লার জার্সিতে খেলতে নামা রাসেল দর্শকদের চাওয়াই যেন পূর্ণ করলেন। মোহাম্মদ ওয়াসিমের ফুলার লেন্থ বল পা সরিয়ে ওয়াইড লং নিয়ে পাঠালেন সীমানার বাইরে।
ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১২২ রানের লক্ষ্য কুমিল্লা ছুঁয়ে ফেলে ৫ উইকেট হাতে রেখে ৯ বল আগে। ১৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ রান তুলে কুমিল্লার শেষের নায়ক রাসেল হলেও প্রথম ইনিংসে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে কুমিল্লা তাদের আটকে রাখে ১২১ রানে। যা এবারের বিপিএলে তাদের সর্বনিম্ন রান। যা সম্ভব হয়েছে মুগ্ধর ধারালো বোলিংয়ে। ডানহাতি পেসার ২৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে মুগ্ধতা ছড়ান ২২ গজে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, জানাত, ওয়াসিম ও চতুরঙ্গর উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম ফাইফারের স্বাদ দেন। যা তার ক্যারিয়ারেরও প্রথম ৫ উইকেট শিকার।
সাকিবের দলের ব্যর্থতার দিনে আলো ছড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথমবার তিনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২৬ বলে ৩৬ রান করেছেন ৩ চার ও ১ ছক্কায়। এছাড়া শেষ দিকে জানাতের ২৬ বলে ৩২ রানের সুবাদে শতরান পেরিয়ে যায় বরিশাল। সাকিবের ব্যাট হাসেনি। ৬ রানে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। এছাড়া একাদশে ফিরে মিরাজ ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
মুগ্ধর নজরকাড়া বোলিংয়ের দিনে মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৯ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া রাসেল ও তানভীর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
লক্ষ্য তাড়ায় কুমিল্লা ভুগেছে। রিজওয়ান (১১), জাকের (১০), ইমরুল (৫) ও মোসাদ্দেক (১) দ্রুত আউট হন। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে লিটন ৩৬ রান করলেও বল খেলেছেন ৩৯টি। তাতে কুমিল্লার ওপর চাপ তৈরি হয়। সেই চাপ রাসেল একাই সামলে নেন প্রতি আক্রমণে গিয়ে। সাকিবের ১৮তম ওভারে দুটি ছক্কা মারেন চোখের পলকে। এরপর উইনিং শটটিও উড়ান ছক্কায়। এছাড়া ১৯ বলে ২৩ রান আসে খুশদিল শাহর ব্যাট থেকে।
এ জয়ে বরিশালকে পেছনে ফেলে কুমিল্লা শীর্ষ দুইয়ে উঠেছে। দুই দলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি আছে। সেরা দুইয়ে থাকতে শেষ সুযোগটি কে কাজে লাগায় সেটাই দেখার।