ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পাচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্তরা। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছয় জনকে শুক্রবার মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ওই মামলার আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে গত মে মাসে মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মুক্তির নির্দেশ পাওয়া ছয় জনও রাজীব হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত। তারা ৩৩ বছর ধরে কারাবন্দি রয়েছেন।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন রাজীব গান্ধী। পরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র ধানু নামে এক নারী আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনায় সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে দণ্ডপ্রাপ্তরা। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায় ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে যায়।
২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন এডিএমকে মন্ত্রিসভা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তনামা তামিলনাড়ুর তৎকালীন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গেলে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। রাজ্যপাল এ বিষয়ে সিলমোহর না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দণ্ডপ্রাপ্তদের এক জন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তার মুক্তির পর আরও দুই আসামী মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। গত জুন মাসে মাদ্রাজ হাই কোর্ট এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে ‘পরামর্শ’ দেয় তাদের।