যাত্রী ছাউনীর এক অংশে দোকান। সেখানেই দিনের একটি সময় বসে থাকে বখাটেরা। তাই নিরুপায় হয়ে সড়কে গাড়ির অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও নারীরা।
এ চিত্র চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের মাসদাইরে অবস্থিত জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনীর।
দোকানীদের দাবি, ৪ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় সেখানে বাণিজ্যিক অনুমতি দিয়েছে জেলা পরিষদ।
যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন উপজেলায় ৭টি ছাউনী রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের। এর মধ্যে একটি চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের মাসদাইরে এই ছাউনীটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাউনীর পাশেই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ও জামলতা আবাসিক এলাকা। ছাউনীর ২৪০ বর্গফিট অংশ দখল করে দোকান কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে।
ছাউনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, ‘প্রায়ই ছাউনিতে লোকজন প্রকাশ্যে সিগারেট খায়। ধোঁয়ায় অস্বস্তি লাগে। মুখে কাপড় দিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আবার অনেক সময় বখাটেরা বসে থাকে, খারাপ মন্তব্য করে।’
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ছাউনিগুলো অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ছাউনির সামনে অনেক সময় গাড়ি থামে না। তাই যাত্রীরাও ছাউনিতে না গিয়ে বাসে ওঠার সুবিধাজনক স্থানেই অপেক্ষা করেন। আবার অনেক সময় দোকানের ক্রেতা ছাউনিতে বসে থাকায় নারী যাত্রীরা যান না।
বাণিজ্যিক অনুমতি নিয়েই দোকান বসানো হয়েছে বলে জানান দোকান সংশ্লিষ্টরা। ৩ লাখ টাকা সেলামী ও মাসিক ভাড়া ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয় জেলা পরিষদকে।
দোকান ঘরটি ইজারা নেওয়ার সত্যতাও পাওয়া গেছে অনুসন্ধানে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ভাড়া যেটা দেওয়া হয়, সেটা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের এটা না। মাসদাইর কবরস্থানের পাশে আরেকটি ছাউনি আছে। সেটাকেই ভাড়া দেওয়া হয়। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের ছাউনিটা অবৈধ বলে জানি।
তবে, মাসদাইর কবরস্থান এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা জানান, চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ছাড়া আর কোথাও ছাত্রী ছাউনি নেই।